আগামী বছরগুলোতে বিদ্যুৎ সমস্যা থাকবে না: প্রতিমন্ত্রী
|
![]() তিনি বলেন, আমরা সামনে ভেড়ামারা থেকে বিদ্যুৎ পাব, নিউক্লিয়াস থেকে বিদ্যুৎ পাব, আদানি থেকে বিদ্যুৎ আসবে। আশা করছি ভালো সরবরাহ করতে পারব। রোববার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘নেসকো টুওয়ার্ড ২০৪১, চ্যালেঞ্জ এন্ড ওয়ে ফরোয়ার্ড’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো)। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন যত্রতত্র শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আছে যত্রতত্র শিল্প কারখানায় সংযোগ না দেয়ার। সে বিষয়টা মাথায় রাখার দরকার। নেসকো এলাকায় ২৭ হাজার সেচ পাম রয়েছে। সেসব সেচ পাম্পে কিভাবে সোলার সিস্টেমে নিয়ে আসা যায় তার একটা চিন্তা মাথায় রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন, কিভাবে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায় সে ধরনের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নেসকোর আজকের এই সেমিনার। আমি মনে করি নেসকো খুব যুগোপযোগী একটি সেমিনারের আয়োজন করছে। তারা স্মার্ট বিদ্যুৎ বিতরণে যে পরিকল্পনা নিয়েছে তা সুফল নিয়ে আসবে। সেমিনারে নেসকো চেয়ারম্যান মো. মোহসীন চৌধুরী বলেন, নেসকো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকায় তার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কিছুটা পিছিয়ে থাকা এই এলাকার জনগণের সরলতা সর্বত্র সমাদৃত। এই এলাকায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড দেশের অন্যান্য এলাকা হতে একটু কম। বিদ্যুতের চাহিদাও কিছুটা কম। নেসকো এই এলাকায় একটি ক্যাটালিস্টের ভূমিকায় রয়েছে। নেসকোর সফলতার উপর নির্ভর করছে এ এলাকার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতি প্রকৃতি। অর্থনৈতিক উন্নয়ন বয়ে আনবে আর্থ-সামাজিক গতিশীলতা। আর এভাবেই এ এলাকা হয়ে উঠবে বাংলাদেশের ক্রিটিকাল অর্থনৈতিক জোন। ক্যালিফোনিয়া ছিল আমেরিকার কৃষি ফোন; যা এখন পৃথিবীর ৫ম অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। এভাবেই নেসকো এলাকাও এগিয়ে যাবে-এটা আমার বিশ্বাস। সেমিনারে বিদ্যুৎ বিভাগসহ নেসকোর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
|