কুমিল্লার
দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নে সরকারি খাল ভরাট করে কৃষি জমির উপর
স্তরের মাটি ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছে একটি প্রভাবশালী চক্র। রাজামেহার
চেয়ারম্যান মো.জসিম সরকারের চাচা সাবেক ইউপি সদস্য মো. ফরিদ মিয়ার বিরুদ্ধে
এমন অভিযোগ করেছেন স্থানীয় কৃষকরা।
শুক্রবার বিকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা
গেছে, হাফুরখাড়া হতে রাজামেহার কলেজ পর্যন্ত সড়কের সুমন চৌকিদারের বাড়ির
পাশে প্রবাহমান একটি খালের পানির গতিপথ ভরাট করে ট্রাক্টরে করে কৃষিজমির
উপর স্তরের মাটি পাশ্ববর্তী চুলাশ গ্রামের একটি ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছে ওই
চক্রটি।
জানা গেছে, খালটি দেবিদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের
কাচিসাইর থেকে রাজামেহারের মরিচার উত্তর পাড়া হয়ে মুরাদনগর উপজেলার
প্রান্তি বাজারে গিয়ে লেগেছে। এ খালের গতিপথ বন্ধ হওয়ায় দুই দিকের পানি
নিষ্কাশন বন্ধ রয়েছে। এতে পানি সমস্যায় পড়ছেন কৃষকরা।
নাম প্রকাশে
অনিচ্ছুক ওই এলাকার কয়েকজন কৃষক জানান, এ জমিতে দুই ফসল হয়। প্রতি বছর আমন
ফসল ঘরে উঠার পর পর মাঠ শুকিয়ে গেলে ইটভাটার ট্রাক্টর দিয়ে মাটি পরিবহনের
জন্য সরকারি খাল ভরাট ও কৃষকের জমির ওপর দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা করে মাটি
নিয়ে যায় তাঁরা। কিছু বললে আমাদের হুমকি ও মামলার ভয়ভীতি দেখায়। তাই এলাকার
লোকজন কিছু বলতে সাহস করেন না। এছাড়াও ট্রাক্টর চলাচল করার কারণে এলকার
পাকা সড়ক ভেঙে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ধুলাবালিতে একাকার হয়ে পুরো
এলাকা। ইউএনও-এসিল্যান্ডকে মৌখিক জানালে তাঁরা লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন,
আমরা লেখাপড়া জানিনা লিখিত অভিযোগ দেব কিভাবে?
স্থানীয় কয়েকজন জানান,
ইউনিয়ন ভূমি অফিস, ইউপি চেয়ারম্যান ও কতিপয় প্রভাবশালীর সহযোগীতায় খাল ভরাট
করে চেয়ারম্যানের চাচা ফরিদ মিয়া গত কয়েক বছর ধরে এভাবে এ কৃষি জমির মাটি
ইটভাটায় বিক্রি করছেন। এ বছরও মাটি কাটা শুরু করেছেন। তাকে কিছু বলা যায়না।
অভিযুক্ত সাবেক ইউপি মেম্বার ফরিদ মিয়া বলেন, আমার জমির মাটি আমি
ইটভাটায় বিক্রি করেছি। ইটভাটার লোকেরাই খাল ভরাট করেছে। এছাড়া সব জায়গায় তো
সরকারি খাল ভরাট হচ্ছে। কৃষি জমির মাটিও সবাই বিক্রি করছে। আমি করলে
সমস্যা কি?
এ বিষয়ে দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ডেজি
চক্রবর্তী বলেন, আমি সরেজমিনে গিয়ে দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা
নেব।