বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০
একটি গানের জন্যই অমর হয়ে থাকবেন আবদুল গাফফার চৌধুরী
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৯ মে, ২০২২, ৩:২৮ পিএম |

একটি গানের জন্যই অমর হয়ে থাকবেন আবদুল গাফফার চৌধুরী দেশের বিশিষ্ট সাংবাদিক, গীতিকার, কলামিস্ট ও সাহিত্যিক আবদুল গাফফার চৌধুরী আর নেই। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)

তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (১৯ মে) দুপুরে পৃথক বার্তায় এ শোক জানান।

আবদুল গাফফার চৌধুরী দুর্দান্ত এক বর্ণাঢ্য জীবন কাটিয়ে গেলেন। নানামাত্রিক প্রতিভায় নিজেকে বিকশিত করেছিলেন তিনি। যখন যেখানে হাত দিয়েছেন, সেখানেই পেয়েছেন সাফল্য। একজন সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদ হিসেবে অনেক বেশি সমাদৃত তিনি।

তবে একজন গীতিকার হিসেবে আবদুল গাফফার চৌধুরীর নাম বাংলাদেশের বুকে থেকে যাবে চিরকাল। অমর হয়ে রইবেন তিনি অমর একুশের গানটির জন্য।

এ গানের গল্প সম্পর্কে ঘাঁটতে গিয়ে জানা যায়, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে বাংলা ভাষার দাবিতে যখন এদেশের ছাত্র-জনতার উপর পুলিশের গুলি চালানোকে নিয়েই এ গানটি। এ গানে ফুটে উঠছে ৫২’র ভাষা আন্দোলনে শহীদদের মহান আত্মত্যাগের কথা। গানটির গীতিকার আবদুল গফফার চৌধুরী সেসময় ঢাকা কলেজের ছাত্র।

পুলিশের গুলিতে সালাম বরকত, রফিক, জব্বারসহ আরও অনেকে হতাহত হলে, তাদের দেখতে ঢাকা মেডিকেলে যান আবদুল গফফার। ঢাকা মেডিকেলের গেটের সামনে তিনি একটি রক্তমাখা লাশ দেখতে পান। লাশটির মাথার খুলি বুলেটের আঘাতে উড়ে গিয়েছিল।

এ লাশটি ছিল ভাষাশহীদ রফিকের লাশ। লাশটি দেখে তার কাছে মনে হয়, এটা যেন তার নিজেরই ভাইয়ের রক্তমাখা লাশ। সঙ্গে সঙ্গে তার মনে গানের প্রথম দুইটি লাইন জেগে উঠে। পরে কয়েকদিনের মধ্যে ধীরে ধীরে তিনি গানটি লিখেন। গানটি প্রথম প্রকাশিত হয় একটি লিফলেটে। সেখানে ‘একুশের গান’ শিরোনামে কবিতা আকারে ছাপা হয়েছিল গানটি। ১৯৫৩ সালে ‘একুশে সংকলনে’ও এটি স্থান পায়।

প্রথমে আবদুল লতিফ গানটিতে সুর করেন। তবে পরে আলতাফ মাহমুদের করা সুরটিই বেশি জনপ্রিয়তা পায়। ১৯৫৪ সালের প্রভাত ফেরীতে প্রথম গাওয়া হয় আলতাফ মাহমুদের সুরে গানটি। এ সুরটিই এখন প্রচলিত।

গানটি এখন শুধু বাংলা ভাষার মানুষই না, সারা বিশ্বের মানুষও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। কারণ, একুশে ফেব্রুয়ারি এখন সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আর এই গানটি বর্তমানে হিন্দি, মালয়, ইংরেজি, ফরাসি, সুইডিশ, জাপানিসহ ১২টি ভাষায় গাওয়া হয়।

যতদিন ভাষা নিয়ে গর্ব করবে বাংলাদেশের মানুষ, বাংলা ভাষার মানুষ; এমনকি বিশ্বের নানা ভাষার মানুষ ততদিন ইতিহাসে থেকে যাবেন গানটির রচয়িতা আবদুল গাফফার চৌধুরী।












সর্বশেষ সংবাদ
কুমিল্লায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন,আটক ৩
স্বাগত ২০২৩: অকল্যান্ডে আতশবাজির মধ্য দিয়ে বর্ষবরণ
কুমিল্লায় অভাবের তাড়নায় মা-মেয়ের আত্মহত্যা
সাবেক পোপ বেনেডিক্ট মারা গেছেন
কুমিল্লায় নির্মানাধীন ভবনের প্রহরীর মরদেহ উদ্ধার
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
কুমিল্লায় অভাবের তাড়নায় মা-মেয়ের আত্মহত্যা
কুমিল্লায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন,আটক ৩
মাহির মনোনয়ন নিয়ে যা বললেন ডা. মুরাদ
স্কুলে ৪ শ্রেণিতে এবার নতুন শিক্ষাক্রম
আওয়ামী লীগ ১২ স্বতন্ত্র ৫
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২ | Developed By: i2soft