আলমগীর হোসেন,দাউদকান্দি।।
মাদারীপুরের
কাঠাঁলবাড়ীর ঘাটে পদ্মায় বালুবাহী নৌযানের সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে একটি
যাত্রীবাহী স্পিডবোট ডুবে যায়। এঘটনায় ২৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এরমধ্যে কুমিল্লা দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের মাইথারকান্দি
গ্রামের মৃত আবুল হাশেম এর ছেলে কাউছার আহম্মেদ এবং তার শ্যালক একই গ্রামের
নূরু মিয়ার ছেলে রুহুল আমিন মারা যায়।
সোমবার তাদের মৃত্যূর সংবাদে
এলাকায় শোকের মাতম চলছে। দুলাভাই ও শ্যালকের মৃত্যুর সংবাদ শুনে তাদের
পরিবার ভেঙ্গে পড়েছে । নিহত কাউছার আহম্মেদের ছোট ভাই মিজানুর রহমান জানান,
ব্যবসায়িক কাজে যাওয়ার পথে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ীর ঘাটে বালুবাহী
বাল্বহেড বলগেটের সাথে স্পিডবোটের সংঘর্ষ হলে এতে আমার ভাই ও তার শ্যালকসহ
২৬ জন মারা যায় এবং আমার ভাইয়ের ছোট শ্যালক ইসমাঈল হোসেনকে আহত অবস্থায়
উদ্ধার করা হয়।
স্বামীকে হারিয়ে নির্বীকার কাউছার আহম্মেদের স্ত্রী
পারুল আহম্মেদ। দুই ছেলে ইফরান, তাওহিদ ও মেয়ে ত্যায়িবা বাবা বাবা বলে
চিকিৎকারের দৃশ্য দেখে অনেকেই চোখের জল রাখতে পারিনি । রুহল আমিনের স্ত্রী
শাহীনূর বেগম বলেন, জীবনে এমন একটি কঠিন পরিস্থিতির সম্মোখিন হবো তা ভাবতেও
পারিনি। ছোট দুই মেয়ে রাফছা ও রাইছা বাবার মৃত্যুর সংবাদে তাদের চোখের
দু,চোখে অশ্রুশিক্ত প্রতিবেশী অনেকেই বাকরুদ্ধ করেছে।
বিকাল ৫ টায় নিজ
এলাকা মাইথারকান্দি গ্রামে একটি এ্যাম্মুলেন্সযোগে দুটি মরদেহ পৌঁছলে
এলাকাবাসী ও তার আত্মীয় স্বজনরা এক নজর দেখতে আশপাশ এলাকা থেকে ভীড় জমায় ।
সন্ধ্যায় জানাযা শেষে তাদের দুইজনকে নিজ এলাকা কবরস্থানে সমাধিত করা হয় ।
এলাকাবাসী
জানান, নিহত দুইজনই এলাকার সকলের প্রিয়জন হিসেবে পরিচিত । সামাজিক কল্যাণ
মূলক কর্মকান্ডে তাদের সামনে সাড়িতে পাওয়া যেত । ছোট বড় সকলের যেন সুখে
দু:খের সাথী ছিলো এই দুইজন ।