ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
মৃতদের আবাসিক এলাকা
Published : Monday, 25 January, 2021 at 6:33 PM
মৃতদের আবাসিক এলাকাসমাধিস্থানটি ম্যানিলার শহরতলিতেই অবস্থিত। সেদিন সমাধিক্ষেত্রে থামতে হয়েছিল নির্দিষ্ট স্থানে, যেখানে গাড়ি রেখে গাইড আমাকে হেঁটে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন। কিন্তু কয়েক কদম হাঁটার পরও ঠিক সমাধি দেখতে পেলাম না। তাই গাইডকে জিজ্ঞেস করলাম ‘সিমেট্রি তো দেখছি না, আরও কতটা পথ যেতে হবে আমাদের?’ তিনি সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিলেন, ‘আমরা যে পথে হাঁটছি তার দুপাশে যা দেখছেন, এগুলোই সিমেট্রি।’ আমাদের চলতি পথের দুপাশে কারুকাজ করা সুসজ্জিত বাড়ি, কোনোটা দোতলা, কোনোটা তিনতলা। আমার মনে হচ্ছিল কোনো পরিকল্পিত আবাসিক এলাকায় হাঁটছি। যে এলাকার শেষ প্রান্তে হয়তো সমাধিক্ষেত্র শুরু। গাইড তখন স্মিত হেসে বলেন, এগুলোই সমাধি।
বাড়িগুলো শুধু সুসজ্জিতই নয়, আছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাও
শান্ত ও সরু পথ ধরে হাঁটার সময় মনে হচ্ছিল বাড়িগুলো কেবল একেকটি সমাধি নয়, যেন সমাধিসৌধ। খোদাই করা স্মৃতি ভাস্কর্যগুলো যেন গল্প বলছে। পুরো জায়গাটিকে শহরের ভেতর আরেকটি শহর বলে মনে হচ্ছিল, ঠিক রোম শহরের ভেতর যেমন ভ্যাটিকান সিটি। সমাধিক্ষেত্র পরিভ্রমণের সময় আমার কাছে একই সঙ্গে সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক ও স্থাপত্যের এক অপূর্ব মেলবন্ধন মনে হচ্ছিল।
সমাধিস্থলের বাড়িগুলো চীনা স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত
‘বেভারলি হিলস অব দ্য ডেড’ সিমেট্রির পোশাকি নাম। ইউরোপীয় পর্যটকদের কাছে নামটি বেশ জনপ্রিয়। ম্যানিলার এক স্থানীয় বাসিন্দার মুখে শুনেছিলাম, এটি এমন এক সমাধিক্ষেত্র, যেখানে জীবিতের চেয়ে মৃতরা ভালো ঘরে আছেন। ঘুরতে ঘুরতে মনে হচ্ছিল, তিনি একদম ঠিক বলেছেন। প্রত্যেকটি কবর একেকটি সাজানো বাড়ি। প্রতিটি বাড়িতে রান্নাঘর, গোসলখানা, শয়নকক্ষ দেখলাম। সমাধিস্থদের আত্মীয়রা অনেক সময় এসব বাড়িতে এসে থাকেন, প্রিয়জনের ‘সান্নিধ্য’ নেন।