বুড়িচং
প্রতিনিধি।। কুমিল্লার বুড়িচংয়ে এক কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণের ঘটনা
ঘটেছে। এ ঘটনায় কিশোরীটির মা বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় একটি মামলা দায়ের
করেছেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, জেলার বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের
শিকাপুর গ্রামের ১৭ বছরের এক কিশোরী গত বুধবার বিকেল ৫ টায় তাঁর ছোট ভাইকে
নিয়ে বুড়িচং সদর বাজারে মোবাইল ফোনমেরামতের জন্য যায়। বুড়িচং বাজার
হাসপাতাল গেইট এলাকায় পৌছালে উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের সাদকপুর
গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে মোঃ সোহেল (২২) এর নেতৃত্বে ৩ জনের একটি
অপহরনকারী দল কিশোরীটিকে জোর পূর্বক অপহরন করে ব্যাটারি চালিত একটি
অটোরিক্সায় উঠিয়ে নেয়। এসময় কিশোরীটির সাথে থাকা তাঁর ছোট ভাই বাধা
দিলে অপহরকারীরা তাকে ভয়-ভীতি দেখায়। অপহরণকারীরা কিশোরীটিকে বিভিন্ন
স্থানে ঘুরিয়ে বুড়িচং সদর ইউনিয়নের জগতপুর সীমান্ত এলাকায় একটি মুরগীর
ফার্মে নিয়ে যায়। পরে অপহরনকারী সোহেল জোর পূর্বক ধর্ষন করে। পরবর্তীতে
সোহেলের সঙ্গে থাকা অপর অপহরনকারীরা কিশোরীটিকে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। কিশোরীটির
ডাক-চিৎকার করলে ধর্ষক সোহেল পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে কিশোরীটি তাঁকে
ঝাপটে ধরে। এসময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে ধর্ষক সোহলকে আটক করে জনৈক মফিজুল
ইসলামের বাড়ীতে নিয়ে যায়। কিশোরী ধর্ষনের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে
কিশোরীটির পরিবার ও ধর্ষকের পরিবার মফিজুল ইসলামের বাড়ীতে যায়। পরে জগতপুর
গ্রামের জামাল হোসেন মেম্বারের নেতৃত্বে একদল লোক এসে ধর্ষক সোহেলকে ছাড়িয়ে
নেয়। রাতে কিশোরীটি অসুস্থ হয়ে পড়লে পরদিন সকালে কিশোরীটিকে বুড়িচং
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে কিশোরীটিকে কুমিল্লা
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে কিশোরীটি কুমিল্লা
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাজার অবস্থায় আছে। এ ঘটনায় কিশোরীটির মা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বুড়িচং থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। বুড়িচং
থানার অফিসার ইনচার্জ আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, ধর্ষনের ঘটনায় ৩ জনকে
আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত
রয়েছে।