দুই বছর পড়াশোনার পর মিলবে কাজের সুযোগ
|
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে কার্যকর করার জন্য ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এমন একটি পরিকল্পনার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। স্নাতক ডিগ্রী অর্জনের পর বিদেশি শিক্ষার্থীরা যাতে চার মাসের বেশি যুক্তরাজ্যে অবস্থান করতে না পারেন সেজন্য ২০১২ সালে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টেরিজা একটি পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। নতুন এ পরিকল্পনা সেই সিদ্ধান্তকে রহিত করলো। এই পরিকল্পনার আওতায় সেসব শিক্ষার্থীরা আগামী বছর থেকে যুক্তরাজ্যে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পড়াশুনা শুরু করবেন তারা শিক্ষাজীবন শেষে দুবছরের কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন। কিন্তু এ সুযোগ পেতে হলে শিক্ষার্থীদের এমন প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তি হতে হবে, যেগুলো নিয়মিতভাবে ছাত্র ভর্তির ক্ষেত্রে অভিবাসন সংক্রান্ত নিয়মকানুন যথাযথভাবে মেনে চলে। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, বিশ্বের বৃহত্তম জেনেটিক গবেষণা প্রকল্পের জন্য সারা বিশ্ব থেকে বিশেষজ্ঞদের জড়ো করছি, যাতে প্রাণঘাতী রোগের চিকিৎসায় উন্নত পদ্ধতি আবিষ্কার তথা প্রাণ বাঁচানো সহজ হয়। “বিশ্বের উজ্জ্বল এবং মেধাবীদের জন্য যুক্তরাজ্যে পড়াশুনা ও কাজের সুবিধা উন্মুক্ত না হলে এ লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে না। তাই সক্ষমতা চিহ্নিত করে বিদেশি শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ দিতে নতুন রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে।” ছায়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডায়ান অ্যাবোট বলেন, পড়াশুনা শেষে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের পর কাজের সুযোগ দেওয়ার পক্ষে লেবার পার্টি বরাবরই বলে আসছে। কারণ তারা আমাদের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে, বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণায় অবদান রাখবে। এর ফলে বিশ্বের মেধাবী এবং সেরাদের আনতে পারব আমরা। “কিন্তু দুঃখজনক যে, আগে এর বিপরীত পদক্ষেপে মন্ত্রীরা সমর্থন দিয়েছিল।” তবে বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাজের সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে অভিবাসন বিষয়ে ডানপন্থী রক্ষণশীল সংগঠন মাইগ্রেশন ওয়াচ। সংগঠনটির চেয়ারম্যান আলপ মেহমেট বলেন, এই সিদ্ধান্ত ‘পশ্চাৎমুখী’। এর ফলে স্নাতক ডিগ্রিধারী বিদেশি শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি সংখ্যায় যুক্তরাজ্যে থেকে যাবে। “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এমনিতেই অনেক বেশি বিদেশি শিক্ষার্থীকে টানছে। তাই নতুন করে শিক্ষা ভিসার মান কমিয়ে পরোক্ষভাবে এটিকে কাজের ভিসায় পরিণত করার কোনো দরকার নেই।
|