কংগ্রেস ছাড়লেন ঊর্মিলা
|
তিনি বলেন, “নিশ্চিতভাবেই মুম্বাই কংগ্রেসের প্রধান নেতারা দলের উন্নতির জন্য সংগঠনের মধ্যে পরিবর্তন ও পরিমার্জন আনতে সক্ষম নন বা তারা সেটা চানই না। “আমার রাজনৈতিক ও সামাজিক চেতনা আমাকে দলের ভেতর কায়েমী স্বার্থে নিজেকে নীচ লোকেদের মত ব্যবহার করার অনুমতি দেয় না। মুম্বাইয়ে কংগ্রেসের হয়ে একটি বড় লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করার পরিবর্তে ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থ নিয়ে লড়াই করার মত রুচি আমার নেই।” ভারতের সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনের ঠিক আগে দিয়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন এই বলিউড সুন্দরী। মুম্বাই নর্থ আসন থেকে তিনি ভোটের লড়াইয়েও নেমেছিলেন। কিন্তু বিজেপির অভিজ্ঞ নেতা গোপাল শেঠির কাছে হেরে যান তিনি। গত সপ্তাহে মুম্বাই কংগ্রেস প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ান মিলিন্দ দেওড়া। ঊর্মিলা জাতীয় নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার আগে গত ১৬ মে কয়েকজন স্থানীয় নেতার বিরুদ্ধে নালিশ করে মিলিন্দকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। যেটা সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয়ে যায়। দলীয় গোপন চিঠি কিভাবে সংবাদমাধ্যমের হাতে পড়ে তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ঊর্মিলা বলেন, এটা ‘নির্লজ্জ বিশ্বাসঘাতকতা’। তিনি বলেন, “আমি এটা নিয়ে অভিযোগ করার পরও কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। চিঠি অত্যন্ত গোপন এবং গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগের মাধ্যম, যেটা এত সহজে কিভাবে অন্যের হাতে পড়ে গেল? “জানি বলে লাভ নেই, কিন্তু আমি বারবার প্রতিবাদ করার পরও দলের পক্ষ থেকে কেউই আমার কাছে ক্ষমা চায়নি। এমনকি, আমার কথা কেউ বিবেচনাতেই নেয়নি। আমি চিঠিতে বিশেষ করে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেছিলাম যারা মুম্বাই নর্থে দলের হয়ে ঠিকঠাক মত কাজ করছে না। অথচ প্রধান নেতারা খারাপ পারফমেন্সের জন্য তাদের কাছে কোনো কৌফিয়ত তো চায়ইনি বরং নতুন পদ দিয়ে তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে।” সন্দেশ কোন্দভিলকর ও ভূষণ পাতিল রাজ্য কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা সঞ্জয় নিরুপমের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় ঊর্মিলার অভিযোগের পরও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এরপর দল ছাড়ার চিন্তা করেন ঊর্মিলা। মহারাষ্ট্রের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে ঊর্মিলার এভাবে অভিযোগ তুলে দল ত্যাগ স্বাভাবিকভাবেই ডুবতে বসা কংগ্রেসের জন্য উদ্বেগের কারণ হবে। |