এক কোটি টাকার চেক প্রতারণার আরেকটি মামলায় সংসদ সদস্য হারুনকে আবারও আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী এ আদেশ দেন।
এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী শওকত হোসেন মিয়া বলেন, এ মামলায় এমপি হারুনের আদালতে হাজির হওয়ার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তিনি হাজির না হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। তবে বিচারক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি না করে পুনরায় এমপি হারুনকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। এ নিয়ে এমপি হারুন এই মামলায় দ্বিতীয় বার আদালতে হাজির হলেন না বলেও জানান এই আইনজীবী।
তবে মামলার বাদী ব্যবসায়ী ও জাতীয় পার্টির (জেপি) কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান খলিল আদালতে হাজিরা দেন। মামলার নথি থেকে জানা যায়, ব্যবসায়ী খলিলুল রহমানের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক থাকার সুবাদে ঝালকাঠি-১ আসনের সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুন পাঁচ কোটি টাকা ধার হিসেবে নেন। সে টাকা খলিলুর রহমান ফেরত চাইলে এমপি হারুন তাঁকে পাঁচ কোটি টাকার পাঁচটি চেক
পরবর্তী সময়ে খলিলুর রহমান সে চেকের মধ্যে তিন কোটি টাকার চেক নগদায়নের জন্য ব্যাংকে উপস্থাপন করলে তা অপর্যাপ্ত তহবিল মর্মে ফেরত হয়। পরবর্তী সময়ে খলিলুর এ বিষয়ে এমপি হারুনকে জানালে তিনি টাকা না দিয়ে ঘোরাতে থাকেন। পরে বাদী এ ঘটনায় মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে মামলা করেন। সম্প্রতি বনানীতে দুই ছাত্রী ধর্ষণের মামলায় আলোচিত রেইনট্রি হোটেলের মালিক এমপি হারুনের ছেলে।