জহির শান্ত: কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রচারণার আর কয়েকদিন বাকী। অল্পকিছুদিনের প্রচারণার এ সময়টাকে কাজে লাগাতে কান্তি প্রচার চালাচ্ছেন প্রধান দুই মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগের আনজুম সুলতানা সীমা ও বিএনপি বিএনপি মনিরুল হক সাক্কু। দিনে কান্তিহীন প্রচারণার পর রাতে আবার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে বসেন ভোটের হিসাব নিকাশে। অপরদিকে ভোটারদের মাঝেও শুরু হয়েছে আগাম নির্বাচনী হিসাব নিকাশ ও চিন্তা ভাবনা। প্রার্থীদের অতীত ও বর্তমান অবস্থা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা ও চুলছেড়া বিশেষণ। প্রচারণার শেষ সময়ে এসে এবার পুরো দমে জমে উঠেছে কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের আমেজ। মেয়র প্রার্থী ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন সমানতালে।
বৃহস্পতিবার সকালে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আনজুম সুলতানা সীমা স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে নগরীর নজরুল এভেনিউ এলাকায় স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ করেন। পরে তিনি দুপুরে কুমিল্লা জিলা স্কুল ও পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে পৃথক ২টি টেলিভিশন চ্যানেলের জনতার মুখোমুখি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এসময় জেলায় অবস্থানরত আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতা তার সাথে ছিলেন। এদিকে ১৪ দলীয় জোটের প্রতিনিধি দলের নেতা ও সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়–য়ার নেতৃত্বে ঢাকা থেকে আগত ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ নগরীর বজ্রপুর, মৌলভীপাড়া, তেলিকোনাসহ বিভিন্ন এলাকায় নৌকার প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগ চালান।
অপরদিকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে নগরীর ঠাকুরপাড়া, গোবিন্দপুর, পাথুরিয়াপাড়া, টিক্কারচরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় গণসংযোগ চালান। ২০ দলীয় জোটের পক্ষে নির্বাচন সমন্বয়ক এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল আদালত, মোগলটুলী, রাজগঞ্জ, ছাতিপট্টি, চকবাজার এলাকায় ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন।
শুধু প্রধান দুই মেয়র প্রার্থীই নন। সমানতালে উৎসব মুখর পরিবেশে পুরোদমে চালাচ্ছেন গণসংযোগ প্রচারণা চালাচ্ছেন সকল কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী। ভোটারদের বাসা বাড়িতে গিয়ে গণসংযোগ ও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রতিদিনই। দিনে গণসংযোগ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রার্থীরা। ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। দোয়া ও আর্শীবাদ নিচ্ছেন সকল শ্রেণী পেশার মানুষের। প্রতিদিনই নির্বাচনী এলাকা ও অনুষ্ঠানস্থলে গিয়ে সাধারণ ভোটারদের সাথে কুশল বিনিময় ও উঠান বৈঠক করছেন।
এরইমধ্যে ভোটারদের মাঝেও আগাম নির্বাচনী হিসাব নিকাশ ও চিন্তা ভাবনা শুরু হয়েছে। প্রার্থীদের অতীত ও বর্তমান অবস্থা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা ও চুলছেড়া বিশেষণ। অভিজ্ঞ মহলের ধারণা, বিগত দিনের সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন কর্মকান্ড বিশ্লেষণ, সততা-যোগ্যতা, শিার কথা বিবচেনা ও অন্যান্য সকল উন্নয়নের দিক বিবেচনা করেই সাধারণ ভোটারা ভোট প্রযোগ করবেন। আগামী ৩০শে মার্চ কুসিক নির্বাচনে কে হাসবেন শেষ বিজয়ের হাসি এই প্রতিায় রয়েছেন নগরীর সচেতন ভোটাররা।