কুমিল্লা ইতিহাস ও ঐতিহ্যের আলোকচিত্র দেখে মুগ্ধ ভারতের ত্রিপুরাবাসী। সোমবার ভারতের ত্রিপুরা আগরতলা রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে দৈনিক কুমিল্লার কাগজের নির্বাহী সম্পাদক ও ফটোসাংবাদিক হুমায়ূন কবির জীবনের দুই দিনব্যাপি একক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ত্রিপুরা তপসিলী কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী শ্রী রতন ভৌমিক ও ত্রিপুরা বিধানসভার উপাধ্যক্ষ শ্রী পবিত্র কর, বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মোহনা, একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাই বাবলু। প্রদর্শনীর প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে গ্যালারীতে সাজানো আলোকচিত্র ঘুরে দেখেন অতিথিরা।
কুমিল্লা ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনী দেখছে ভারতের জনগণ।
চিত্র প্রদর্শনীর দেখতে দর্শকরা ভীড় জমায় এবং কুমিল্লা ইতিহাস ও ঐতিহত্য দেখে মুগ্ধ হন তারা।এসময় উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা মোহনার সাধারণ সম্পাদক এড. পুস্পিতা চক্রবর্ত্তী, সাবেক উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রী প্রয়াত অনিল সরকারের পুত্র অভিজিৎ সরকার বাবুসহ ত্রিপুরার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী রতন ভৌমিক বলেন, উপভোগের দারুণ প্রদর্শনী। ত্রিপুরা রাজ্যে বসবাসকারী অনেক মানুষ কুমিল্লা জেলার আদীবাসী। হুমায়ূন কবির জীবন কুমিল্লাকে ত্রিপুরা মানুষের কাছে এনে দিয়েছে। সেজন্য শিল্পীকে ধন্যবাদ জানাই। তার আলোকচিত্র চমৎকার ও সুন্দর। ভারত-বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক সম্পর্কে আরো গভীর ও অটল হবে।
আলাকচিত্র প্রদর্শনীর বিষয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে স্বাক্ষাতকার দিচ্ছেন কুমিল্লার জনপ্রিয় ফটোসাংবাদিক হুমায়ুন কবির জীবন।
বিধান সভার উপাধ্যক্ষ পবিত্র কর বলেন, বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার আলোকচিত্রী হুমায়ূন কবির জীবন তার ক্যামেরায় ধারণকৃত বিশেষ করে কুমিল্লার শচিন কর্তার বাড়ি, রানীর কুঠি, টাউন হল, ধর্মসাগর, ভিক্টোরিয়া কলেজসহ ঐতিহ্যবাহী স্থানসমূহে ছবিগুলো দেখে আমি খুশি হলাম। এছাড়াও তার অন্যান্য ছবিগুলো আমাকে অতীতে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। এখানে তাকে যারা সহযোগিতা করেছে ধন্যবাদ। এ আয়োজনের মাধ্যমে আগরতলার মানুষ কুমিল্লাকে ভালোভাবে চেনার সুযোগ পেয়েছে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ডা. জসিম, মো. আবদুস সাত্তার, মামুনুর রশিদ, গনেশ, রামু চক্রবর্তী, স্মৃতি দত্ত প্রমুখ। দুই দিনব্যাপি আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আজ মঙ্গলবার সমাপনী।এদিকে কুমিল্লার জনপ্রিয় আলোকচিত্রী হুমায়ূন কবির জীবন কুমিল্লা ইতিহাস ও ঐতিহ্য ভারতে তুলে ধরার জন্য কুমিল্লা বাসী তাকে অভিনন্দন জানান।