বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০
ডায়েট
সপ্তাহে কয়টি ডিম খাবেন
প্রকাশ: সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৬, ১:১৩ পিএম |




সপ্তাহে কয়টি ডিম খাবেনকুমিল্লার কাগজ ডেস্ক:
প্রতিদিন বা নিয়মিত ডিম খাওয়া যাবে কি না এ নিয়ে বিস্তারিত জানালেন পুষ্টিবিদ সুমাইয়া রফিক
কী আছে
একটা ডিমের গড় ওজন প্রায় ৬০ গ্রাম। এতে প্রোটিন ও ফ্যাট মাত্র ৬ গ্রাম। এ ছাড়া ডিমে আছে ৩০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১.৫ মিলিগ্রাম লোহা, অন্যান্য খনিজপদার্থ ৮ গ্রাম এবং অধাতব পদার্থ ৩ গ্রাম, যার মধ্যে ভিটামিন ‘সি’ বাদে অন্য সব ভিটামিন থাকে। পানি থাকে প্রায় ৩৫ গ্র্রাম। কোলেস্টেরল থাকে প্রায় ৭০০ মিলি গ্রাম এবং শক্তি পাওয়া যায় ৭০ ক্যালরি। আমাদের দেহ গঠনের জন্য প্রোটিনের অন্যতম উপাদান যে ৮টি অ্যামাইনো এসিড, তার সব কয়টিই ডিমে পাওয়া যায়।

কারা খাবেন
যাঁদের বয়স বেশি, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক বা হৃদরোগে আক্রান্ত—এমন রোগী অথবা যাঁদের রক্তে কোলেস্টেরল বা চর্বির পরিমাণ বেশি, তাঁদের ডিম খেতে নিষেধ করা হয়। অনেকেই আবার ডিমের কুসুম বাদ দিয়ে শুধু সাদা অংশটুকুই খেতে বলেন। এর কারণ হিসেবে বলা হয় ডিম খেলে কোলেস্টেরল বাড়ে, তাতে উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। কিন্তু এ ধারণা সত্য নয়।

একজন পূর্ণ বয়স্ক সুস্থ মানুষ দৈনিক গড়ে ৩০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত কোলেস্টেরল গ্রহণ করতে পারে। আর একটি ডিমে রয়েছে মাত্র ২০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল।

ডিমের সাদা অংশ খেলে কোনো সমস্যা হবেই না। গবেষণার প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়, সপ্তাহে পাঁচ-ছয়টি ডিম খেলে হৃদরোগ, স্ট্রোক বা অন্য ধরনের হৃদরোগের কোনো ঝুঁকি নেই।

ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে তথ্য থেকে জানা যায়, দিনে একটি ডিম হার্টের জন্য ক্ষতিকর নয়। সকালের নাশতায় একটি ডিম শরীরের কোলেস্টেরলের ওপর তেমন কোনো প্রভাব ফেলে না। এর চেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে সকালের নাশতায় মিষ্টি বা চর্বিজাতীয় খাবার।

ডিমের মধ্যে প্রোটিন, ভিটামিন বি ১২, রিবোফ্লোবিন, ফলেট ও ভিটামিন ডি রয়েছে, যা কোলেস্টেরল বৃদ্ধির ক্ষতিকর প্রভাব কমিয়ে দেয়। এমনকি অনেক দিন সংরক্ষিত বা প্রক্রিয়াজাত মাংস খাওয়ার চেয়ে ডিম বিকল্প খাবার হতে পারে। যাঁরা বেশি কায়িক পরিশ্রম করেন, তাঁরা নিয়মিত ডিম খেতে পারেন। আর যাঁরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছেন, তাঁদের সুস্বাস্থ্যের জন্য নিয়মিত ডিম খাওয়া উচিত। কিডনি অকেজো বা রেনাল ফেইলিওরের রোগীদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডিম খেতে হবে। কারণ কিডনি অকেজো থাকলে প্রোটিন কম খেতে হয়। তবে কারো বেলায় ডিম খেলে অ্যালার্জি জাতীয় সমস্যা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

 ডিমের মন্দ

♦ ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের ওপরে ১২ ঘণ্টার বেশি ডিম রাখলে তার পুষ্টিমূল্য কমে যায়। অথচ গ্রীষ্মপ্রধান দেশে গড় তাপমাত্রা সব সময়ই ৩০ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড থাকে। তাই বাড়িতে এনে ভালো করে ধুয়ে সিদ্ধ করে খেতে হবে। সুসিদ্ধ মানে কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ মিনিট ধরে সিদ্ধ করতে হবে। কাঁচা বা অর্ধসিদ্ধ ডিম হজম হতে সমস্যা হয়।

♦এ ছাড়া কাঁচা ডিমে সালমোনেলা সিগেলা নামক জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। গরমে এই আশঙ্কা বাড়ে।

♦অনেকে মনে করেন ডিম খেলে বাত হয়। বাতের অন্যতম কারণ রক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রা বৃদ্ধি। ডিমের সাদা অংশে ইউরিক এসিড থাকে। তবে তা এত সামান্য যে কোনো ক্ষতি হয় না।

 ♦অতিরিক্ত ডিমের কুসুম খেলে রক্তে কোলেস্টেরল বাড়তে পারে। এই কোলেস্টেরল রক্তনালিতে জমে গিয়ে নালি শীর্ণ করে তোলে এবং অবরোধ সৃষ্টি করে। পরোক্ষে রক্তচাপ বাড়তে পারে। কাজেই হাইপ্রেসারের রোগীদের ডিমের কুসুম কম খাওয়াই ভালো।

 ভুল ধারণা

♦ বসন্ত, হামসহ নানা ভাইরাসজনিত রোগ হলে অনেকে ডিম খাওয়া বাদ দেন। অথচ এ সময় শরীরে বাড়তি পুষ্টির জন্য ডিম বেশি প্রয়োজন।

♦ হাঁস বা মুরগির ডিম এমনকি সাদা বা লালচে ডিম খাওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বে ভোগেন। সব ধরনের ডিমের পুষ্টিগুণ একই রকম।












সর্বশেষ সংবাদ
লেবাননে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশি নারীর মৃত্যু
বছর শেষে সৃজিতের চমক
২০২০ সাল বদলে দেবে যে ৬ স্মার্টফোন
যেভাবে রাঁধবেন নারিকেল দুধে কই মাছ
অবৈধদের ফেরত না পাঠানোর লিখিত আশ্বাস চায় বাংলাদেশ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
পিইসি-জেএসসি জেডিসির ফল প্রকাশ আজ
কুমিল্লার দুই ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা জয়ী
অবৈধদের ফেরত না পাঠানোর লিখিত আশ্বাস চায় বাংলাদেশ
কুমিল্লায় ইউপি নির্বাচনে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৫
লেবাননে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশি নারীর মৃত্যু
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২ | Developed By: i2soft