মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪
৫ চৈত্র ১৪৩০
বুড়িচং উপজেলার রয়েছে চমকপদ ইতিহাস
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৬, ৪:১৪ পিএম আপডেট: ২৫.০৮.২০১৬ ৭:২১ পিএম |

বুড়িচং উপজেলার রয়েছে চমকপদ  ইতিহাস রবিউল হোসেন।। বুড়িচং কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। এই উপজেলার রয়েছে একটি চমকপদ  ইতিহাস । বুড়িচং উপজেলার উত্তরে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা, দক্ষিণে কুমিল্লা সদর উপজেলা, পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা, পশ্চিমে চান্দিনা উপজেলা ও দেবীদ্বার উপজেলা অবস্থিত। এর আয়তন ১৬৩.৭৬ বর্গকিলোমিটার।

ইতিহাস
বুড়িচং উপজেলার পূর্বনাম ছিল উত্তর বিজয়পুর। কিংবদন্তী অনুসারে খৃষ্টীয় একাদশ শতকের গোড়ার দিকে এই উত্তর বিজয়পুর গ্রামে বহু জ্ঞানী-গুণীর আবাসস্থল ছিল। একাদশ শতকের দিকে চৈনিক পরিব্রাজক ‘ইয়েন সাং’ উত্তর বিজয়পুর পরিদর্শণ করতে আসেন এবং এলাকার জ্ঞানী-গুণীদের সাহচর্যে মুগ্ধ হন। ঐ সময় তিনি এই এলাকাকে ‘বুড্ডি চিয়াং’ নামে অভিহিত করেন। চৈনিক ভাষায় বুড্ডি চিয়াং এর বাংলা অনুবাদ করলে দেখা যায়, বুড্ডি অর্থ বুদ্ধি বা জ্ঞানী বা শিক্ষা এবং চিয়াং অর্থ আবাসস্থল বা আস্তান ইত্যাদি বুঝায় । তাই বুড্ডি চিয়াং এর আভিধানিক অর্থ দাড়ায় জ্ঞানী ও গুণীর আবাসস্থল। উক্ত বুড্ডি চিয়াং নাম হতে কালক্রমে মানুষের মুখের ভাষায় সহজ বলার তাগিদে বুড্ডিচং এবং পরে বুড়িচং নামের উৎপত্তি হয়। কুমিল্লা সদর (কোতয়ালী) এর কিছু অংশ ও বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার জেলার কিছু অংশ নিয়ে ১৯১৬ সালে একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের মাধ্যমে বুড়িচং থানার গোড়াপত্তন হয়।

১৯৬৩ সালে ১৫টি ইউনিয়ন নিয়ে বুড়িচং থানা একটি উন্নয়ন সার্কেল-এ রূপান্তরিত হয়। ১৯৭০ সালে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ ও স্বতন্ত্র থানা হিসাবে প্রতিষ্ঠা পায়। ১৯৭৮ সালে এই থানার ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে ব্রাহ্মণপাড়া নামে অপর একটি থানার সৃষ্টি হয়। অবশিষ্ট ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে ১৫/০৪/১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে বুড়িচং থানা উপজেলা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে।

বুড়িচং উপজেলার রয়েছে চমকপদ  ইতিহাস প্রশাসনিক এলাকা

এটি ৮টি ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত; এগুলো হলোঃ বাকশীমূল ইউনিয়ন, বুড়িচং সদর ইউনিয়ন, ষোলনল ইউনিয়ন,পীরযাত্রাপুর ইউনিয়ন, ময়নামতি ইউনিয়ন,মোকাম ইউনিয়ন,ভারেল্লা ইউনিয়ন এবং রাজাপুর ইউনিয়ন।

জনসংখ্যা উপাত্ত
এর মোট জনসংখ্যা ২,৬৩,৬৫১ জন; ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১৬০৯.৯৮ জন।
বুড়িচং উপজেলার অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। কিন্তু সম্প্রতিক সময়ে অর্থনীতির ক্ষেত্রগুলোতে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে। কৃষি জমি কমে যাওয়ার ফলে এবং কৃষিতে বিনিয়োগের তুলনায় উৎপাদন না বাড়ার কারণে কৃষক কৃষি কাজে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। তাই কৃষি কাজ ছেড়ে এখন এই অঞ্চলের মানুষদের মধ্যে বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।

উপজেলার দর্শনীয় স্থান:
 গোমতী নদী, ময়নামতি কালী মন্দির, ময়নামতি ওয়ার সেমিট্রি, ময়নামতি বৌদ্ধবিহার,উপজেলা পরিষদ মসজিদ, আয়রন টিলা (অবস্থান লৌহাইমুড়ি, পাহাড়পুর এবং করুনা পুরের মাঝে),শাহ হযরত ফুলকুমারি মাজার শরীফ।












সর্বশেষ সংবাদ
লেবাননে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশি নারীর মৃত্যু
বছর শেষে সৃজিতের চমক
২০২০ সাল বদলে দেবে যে ৬ স্মার্টফোন
যেভাবে রাঁধবেন নারিকেল দুধে কই মাছ
অবৈধদের ফেরত না পাঠানোর লিখিত আশ্বাস চায় বাংলাদেশ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
পিইসি-জেএসসি জেডিসির ফল প্রকাশ আজ
কুমিল্লার দুই ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা জয়ী
অবৈধদের ফেরত না পাঠানোর লিখিত আশ্বাস চায় বাংলাদেশ
কুমিল্লায় ইউপি নির্বাচনে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৫
লেবাননে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশি নারীর মৃত্যু
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২ | Developed By: i2soft