মুস্তাফিজের পাশে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের চেয়ারম্যান নাফিসা
|
কাঁধের অস্ত্রোপচার শেষে এখন সুস্থ মুস্তাফিজুর রহমান হাসপাতালেই আছেন। শুক্রবার রাতটাও বাংলাদেশের এই তরুণ পেসারকে থাকতে হবে হাসপাতালে। লন্ডনের ক্রমওয়েল হাসপাতালে থাকা মুস্তাফিজকে দেখতে যান কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের চেয়ারম্যান নাফিসা কামাল। তিনি হাসপাতালে মুস্তাফিজের পাশে কিছু সময় কাটান। বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করা নাফিসা কামাল তার ফেসবুক পেজে দেয়া ছবিতে দেখা যায় হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা মুস্তাফিজের পাশে চেয়ারে বসে আছেন নাফিসা কামাল। অপারেশনের ধকল কাটিয়ে উঠা মুস্তাফিজের চেহায়ায় অনেকটা স্বস্তি ফুটে উঠেছে। লন্ডনের ক্রমওয়েল হাসপাতালে অস্ত্রোপচার শুরু হওয়ার কথা ছিলো বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টায়, বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায়; পরে অবশ্য একটু দেরী করে শুরু হয় অপারেশন। অভিজ্ঞ অর্থোপেডিক সার্জন অ্যান্ড্রু ওয়ালেস মুস্তাফিজের বাঁ কাঁধে অস্ত্রোপচার করেন। হাসপাতালে মুস্তাফিজের পাশে ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি প্রধান নাজমুল হাসান ও বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। হাসপাতালে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিসিবি প্রধান জানান, তার ফোনে কল করে মুস্তাফিজের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী, দিয়েছেন সাহস। হাসপাতালে ভর্তির প্রক্রিয়া শেষে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয় মুস্তাফিজকে। বিসিবি প্রধান জানালেন, তরুণ এই পেসারকে ভরসা দিতেই লন্ডন গিয়েছেন তিনি, ‘আগে কখন হাসপাতালেই যায় নাই সে। সেই কারণে আমি এসেছি। ওকে সাহস দিতে। অপারেশন শেষে আজকে মুস্তাফিজ হাসপাতালেই থাকবে।’ মুস্তাফিজকে সাহস দিতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ হাই কমিশনের ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার খন্দকার তালহা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শুক্রবার হাসপাতাল ছাড়বেন মুস্তাফিজ। ২-৩ দিন আবার হাসপাতালে আসতে হবে চেকআপের জন্য। ন্যাটওয়েস্ট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে সাসেক্সের হয়ে খেলতে গিয়েছিলেন মুস্তাফিজ। গত ২৩ জুলাই কাঁধের এই ইনজুরিতে পড়েন মুস্তাফিজ। পরদিন রয়্যাল লন্ডন কাপে সাসেক্সের হয়ে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে নামার কথা ছিলো। সেই ম্যাচকে সামনে রেখে নেট অনুশীলনের সময় কাঁধে চোট পেয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। এরপর প্রথম এমআরআইতে ধরা পড়ে, চিকিৎসা বিদ্যার ভাষায় স্লাপ টিয়ার হয়েছে। সাধারণ ভাষায় বলা হয়েছে, কাঁধ ও হাতের সংযোগ স্থলে বেশ কিছু তরুণাস্থি ও লিগামেন্ট থাকে। এর ভেতর একাধিক লিগামেন্ট ও তরুণাস্থিতে চোট ও ছেড়া পাওয়া যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। পরে ডক্টর কোচারের আগ্রহে অর্থোগ্রাম করে দেখা যায়, অস্ত্রপচারই এই সমস্যার সেরা সমাধান। প্রথমে বিসিবির ইচ্ছা ছিলো ইংল্যান্ডেই এই ডক্টর কোচার বা অস্ট্রেলিয়ায় গ্রেগ হয়ের কাছে অপারেশন করানোর। এরপর আবার ইসিবির পরামর্শে মুস্তাফিজকে অপারেশনের জন্য পাঠানো হয় ক্রীড়াবিদদের কাঁধে অপারেশন করার জন্যই বিখ্যাত লেনার্ড ফ্রাঙ্কের কাছে। কিন্তু তার কাছে ২২ আগস্টের আগে অপারেশনের তারিখ না পাওয়ায় বেছে নেওয়া হয় ইসিবির আরেক ভরসার সার্জন ডক্টর ওয়ালেসকে। |