শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০
‌'বিশ্বের চারভাগের একভাগ মারা যায় বাংলাদেশে'
প্রকাশ: শনিবার, ১৪ মে, ২০১৬, ২:৩৭ পিএম |

‌'বিশ্বের চারভাগের একভাগ মারা যায় বাংলাদেশে'কুমিল্লার কাগজ ডেস্ক:
প্রতি বছরই বর্ষার আগে কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে দেশে বজ্রপাতের ঘটনায় ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। গত কয়েকদিনে বজ্রপাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
 
আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, ঋতু পরিবর্তনের সময় বায়ু মন্ডলে এক ধরনের অস্থিরতার সৃষ্টি হয়। এ সময়ে বায়ুমন্ডলে বাতাসের তাপমাত্রা ভূ-ভাগের উপরিভাগের তুলনায় কম থাকে। এ অবস্থায় জলীয় বাষ্প ও মেঘের কনার মধ্যে এক ধরনের ঘর্ষণের ফলে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আয়নের সৃষ্টি হয়। এর ফলে ওই এলাকার উপর বজ্রমেঘ সৃষ্টি হতে থাকে। এটি যখন তীব্র আকার ধারণ করে তখন এটি নীচে চলে আসায় বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
 
আবহাওয়া অধিদফতর মনে করে, মার্চ থেকে মে এবং অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বজ ঝড় হয়ে থাকে। আর জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি হওয়ার কারণেই বজ্রপাতে এখন বাংলাদেশে প্রাণহানির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
 
বিশেষজ্ঞরা জানান, পৃথিবীর অন্যসব দেশের তুলনায় বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা বাংলাদেশেই বেশি। বিশ্বের বজ্রপাতে মৃত্যুর এক-চতুর্থাংশ ঘটে বাংলাদেশে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইটনিং সেফটি ইনস্টিটিউটের ২০১০ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ পরিসংখ্যান উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে বজ্রপাতের সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে হতাহতের ঘটনা এড়ানো যায়।
 
দুর্যোগ-ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট গবেষকরা বলেছেন, বড় গাছের অভাব বজ্রপাতে মৃত্যুর একটা কারণ হতে পারে। অন্যদিকে শহরাঞ্চলে ঘরবাড়ি বেশি হলেও সেখানে বজ্রনিরোধক থাকায় বজ্রপাতের ঘটনা কম। কিন্তু গ্রামের এই নিরোধক হিসেবে কাজ করতো যে বড় গাছ, তার সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। আর এতেই বাড়ছে প্রাণহানি। এছাড়া গ্রামে খোলা জায়গা থাকায় বজ্রপাত বেশি হচ্ছে।
 
বিলুপ্ত সার্ক আবহাওয়া গবেষণা কেন্দ্রের সাবেক পরিচালক সুজিত কুমার দেবশর্মা সাংবাদিকদের বলেন, কালবৈশাখীর মৌসুমে বজ ঝড় বেশি হয়। বাংলাদেশে প্রতি বছর বজ্রপাতে গড়ে দুই থেকে তিনশ মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
 
তিনি বলেন, যখন কিউমুলোনিম্বাস মেঘ তৈরি হয়, তখনই বজ্রঝড় হয়ে থাকে। কিউমুলোনিম্বাস মেঘ হচ্ছে খাড়াভাবে সৃষ্টি হওয়া বিশাল আকৃতির পরিচালন মেঘ; যা থেকে শুধু বিদ্যুত্ চমকানো নয়, বজ্রপাত-ভারি বর্ষণ-শিলাবৃষ্টি-দমকা-ঝড়ো হাওয়া এমনকি টর্নেডোও সৃষ্টি হতে পারে।
 
তিনি বলেন, বায়ুমন্ডলে বাতাসের তাপমাত্রা ভূ-ভাগের উপরিভাগের তুলনায় কম থাকে। এ অবস্থায় বেশ গরম আবহাওয়া দ্রুত উপরে উঠে গেলে আর্দ্র বায়ুর সংস্পর্শ পায়। তখন গরম আবহাওয়া দ্রুত ঠাণ্ডা হওয়ায় প্রক্রিয়ার মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি হয়ে বজ্রমেঘের সৃষ্টি হয়।
 












সর্বশেষ সংবাদ
লেবাননে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশি নারীর মৃত্যু
বছর শেষে সৃজিতের চমক
২০২০ সাল বদলে দেবে যে ৬ স্মার্টফোন
যেভাবে রাঁধবেন নারিকেল দুধে কই মাছ
অবৈধদের ফেরত না পাঠানোর লিখিত আশ্বাস চায় বাংলাদেশ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
পিইসি-জেএসসি জেডিসির ফল প্রকাশ আজ
কুমিল্লার দুই ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা জয়ী
অবৈধদের ফেরত না পাঠানোর লিখিত আশ্বাস চায় বাংলাদেশ
কুমিল্লায় ইউপি নির্বাচনে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৫
লেবাননে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশি নারীর মৃত্যু
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২ | Developed By: i2soft