তানভীর দিপু:
কুমিল্লায়
করোনা পরীক্ষাকারীদের মধ্যে অর্ধেকই পজেটিভ শনাক্ত হচ্ছেন। কুমিল্লা সিভিল
সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা গেছে গত ২৪ ঘন্টায় কুমিল্লা জেলায়
করোনা সংক্রমণ শনাক্তের হার ৪৬ শতাংশের বেশি। এই হার প্রতিদিনই দ্রুত বেগে
বাড়ছে। যত বেশি করোনা পরীক্ষা হচ্ছে তত বেশিই করোনা আক্রান্ত বলে শনাক্ত
হচ্ছে। শনাক্তদের বেশির ভাগই কুমিল্লা নগরীর বাসিন্দা এবং এর পরেই আছে
লাকসাম উপজেলা। এছাড়া অন্যান্য উপজেলায় করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হচ্ছে
প্রতিদিন।
কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল ডা. সার্জন নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী
জানান, কুমিল্লায় এখনো পর্যন্ত করোনা শনাক্তের যে হার তা স্বাভাবিক ভাবেই
উর্দ্ধমুখী। কিন্তু যে হারে বাড়ছে সে পরিস্থিতিতে বলা যায়-সেটি ওমিক্রণ হতে
পারে।
জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় কুমিল্লা জেলায় ৪ শ ৩৫ জন করোনা
পরীক্ষাকারীর মধ্যে পজেটিভ শনাক্ত হয়েছেন ২শ ২ জন। এর মধ্যে ১১৮ জন
কুমিল্লা নগরীর এবং ৩২ জন লাকসাম উপজেলার বাসিন্দা। জেলায় মোট করোনা
শনাক্তের হার ৪৬ দশমিক ৪ শতাংশ। এসময়ের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে কুমিল্লা
সিটি কর্পোরেশনের এক নারী মৃত্যু বরন করেছেন।
এদিকে কুমিল্লা
জেলার বিভিন্ন জায়গায় বেড়েছে ঠান্ডা জ¦র সর্দির প্রকোপ। একই উপসর্গ করোনার
নতুন ধরন ওমিক্রনের। অনেকে আবার সাধারণ অসুখ মনে করেও করোনা পরীক্ষা করছেন
না। তবে জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী বলেন, এই ধরনের লক্ষণ
থাকলেও করোনা পরীক্ষা করা প্রয়োজন। আর ওমিক্রনের লক্ষণ খুবই মৃদু হয়। আর এই
ঢেউয়ে কুমিল্লা জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে একে বারে খারাপ অবস্থায়
হাসপাতালে এসেছেন এমন রোগীর খরও পাওয়া যায় নি। তবে যেহেতু একই সময়ে সিজনাল
ফ্লু এবং ওমিক্রনের সংক্রমন দেখা দিয়েছে, যে কারনে আরো ১৫ থেকে ২০ দিন পর
বুঝা যাবে আসলে কত মানুষ করোনায় সংক্রমিত হয়েছে। তবে এই মুহুর্তে
স্বাস্থ্যবিধি মানা সবচেয়ে বেশি জরুরী।