মাসুদ
আলম।। কুমিল্লা জিলা স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র নওশাদ কবির মজুমদার ওরফে
নাহিদকে মারধরসহ উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হাত ও পায়ের রগ কেটে গুরুতর আহত
করেছে নগরীর ‘আরজিএস’ নামের একটি কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা। এ ঘটনায় কোতয়ালি
মডেল থানা পুলিশ শুক্রবার রাতভর নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে কিশোর
গ্যাং এর ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। শনিবার বিকালে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে
জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ ও মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,
নগরীর মধ্যম আশ্রাফপুর এলাকার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়াতুন্নবী
মজুমদারের ছেলে কুমিল্লা জিলা স্কুলের ১০ম শ্রেণির ছাত্র নওশাদ কবির
মজুমদার নাহিদ (১৫) তার বন্ধু নগরীর ধর্মপুর এলাকার বাসিন্দা নরুর রহমান
খানের ছেলে জাহিদ খানকে ফেসবুকে ব্লক করে দেয়। এ নিয়ে কয়েকদিন আগে নাহিদের
সাথে জাহিদ ও তার বন্ধুদের তর্কবিতর্ক হয়। এর জের ধরে শুক্রবার রাতে
কুমিল্লা নগরীর কেন্দ্রীয় ঈদগাহের দক্ষিণ পাশে জিমনেসিয়ামের সামনে জাহিদ
(১৭), তার বন্ধু শরিফুল ইসলাম (১৬), প্রমি চন্দ্র শীল (১৭), ফারহাত হোসেন
অর্নব (১৬), সাফায়েত (১৫), সাজ্জাদ হোসেন বাবু (১৫), রিফাত (১৫)সহ
অজ্ঞাতনামা আরো ৭-৮ জন মিলে নাহিদকে পথরোধ করে মারধরসহ তার হাত-পা ও শরীরের
বিভিন্ন অংশে এলোপাতারি ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। এসময়
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি
করে।
আহত স্কুল ছাত্রের পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়াতুন্নবী মজুমদার
জানান, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ওই কিশোররা আমার ছেলেকে ছুরিকাঘাত করে হাত-পায়ের রগ
কেটে দিয়েছে। এ বিষয়ে তিনি বাদী হয়ে ৭ জনকে এজাহারনামীয় ও ৭-৮ জনকে
অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
শনিবার বিকালে কোতয়ালি
মডেল থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, এ ঘটনায় শুক্রবার রাতভর থানার
এএসআই হান্নান আল-মামুন ও এএসআই রুবেল মাহমুদের নেতৃত্বে পুলিশের টিম
নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে জাহিদ খানসহ এজাহারনামীয় ৪ আসামিকে
গ্রেফতার করেছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।