শিরোনাম: |
আসিয়ান মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় বসছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার
|
![]() গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই নিয়মিত বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। তবে ২৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার বিক্ষোভকারীদের ওপর চূড়ান্ত রকমের সহিংস ভূমিকায় দেখা গেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের। এদিন পুলিশের গুলিতে অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছে। অভ্যুত্থানের পর এটিই একদিনে সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা। ভয়াবহ ওই নিপীড়নের দুই দিনের মধ্যে জান্তা সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসছে আসিয়ান দেশগুলোর মন্ত্রীরা। বৈঠকের আগে সোমবার রাতে সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেন সু চি ও জান্তা সরকারের মধ্যে আলোচনায় উৎসাহ দিতে চান তারা। তিনি বলেন, ‘তাদের আলোচনার প্রয়োজন আর আমরা তাদের এক সঙ্গে বসতে সহায়তা করতে চাই।’ মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর দাবি গত নভেম্বরের যে নির্বাচনে অং সান সু চির দল জয়ী হয়েছে তাতে ভোটার তালিকায় জালিয়াতি করা হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশন ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এদিকে প্রাণঘাতী বলপ্রয়োগের পরও বিক্ষোভকারীদের হুঁশিয়ার করেছেন জান্তা সরকারের নেতা সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং। বিক্ষোভে ‘উস্কানিদাতা’ এবং অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিয়ে সরকারি কাজ থেকে বিরত থাকা কর্মীদের শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে আসিয়ান দেশগুলোর আলোচনার উদ্যোগকে সন্দেহের চোখে বিক্ষোভকারীরা। দেশটির ক্ষমতাচ্যুত আইনপ্রণেতাদের একটি কমিটির পক্ষ থেকে জান্তা সরকারকে সন্ত্রাসী গ্রুপ আখ্যা দিয়েছে। বলা হয়েছে, আসিয়ান তাদের সঙ্গে বৈঠক করলে তারা বৈধতা পাবে। মিয়ানমারের অ্যালামনাই অব আসিয়ান ইয়োথ প্রোগ্রামের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদের উচিত সু চি’র প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসা, ক্ষমতা দখলকারীদের সঙ্গে নয়। |