শিরোনাম: |
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
৫৮ সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষা আটকে গেছে
|
![]() কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রশাসনের চলমান চূড়ান্ত পরীা স্থগিতের সিদ্ধান্তে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মিলিয়ে আটকে গেছে ৫৮ টি সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীা। এতে করে ফের ভয়াবহ সেশনজটের কবলে পড়ছেন শিার্থীরা। শিার্থীদের অভিযোগ, সর্বত্র স্বাভাবিক চলাচল থাকলেও হঠাৎ করেই চলমান পরীা বন্ধ করা অযৌক্তিক। জানা যায়, করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন কাস-পরীা বন্ধ থাকার পর গত ২০ ডিসেম্বর থেকে চূড়ান্ত পরীা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে শিামন্ত্রী সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীা না নেওয়ার সিদ্ধান্তের পর আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপাচার্যের সাথে ডিন ও প্রভোস্টদের এক সভায় চলমান সকল পরীা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় কুবি প্রশাসন। পরীা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়সূত্রে জানা যায়, গতকাল ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্নাতকের ১৮ টি এবং স্নাতকোত্তরের ১৪ টি সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীা সম্পন্ন করা হয়। হঠাৎ পরীা স্থগিত করায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মিলিয়ে মোট ৫৮টি সেমিস্টারের চলমান পরীা আটকে যায়। এতে করে আবারও শিার্থীরা ভয়াবহ সেশনজটে পড়তে যাচ্ছেন। ােভ প্রকাশ করে নৃবিজ্ঞান বিভাগের শেষ বর্ষের শিার্থী আলী আহমেদ সরকার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো বন্ধ রেখে স্বাস্হ্যবিধি মেনে পরীা নেওয়া উচিৎ। করোনার দীর্ঘ সময় পরেও যদি এমন সিদ্ধান্ত না আসে তাহলে শিার্থীরা যেমন মানসিক ভারসাম্য হারাবে তেমনি সেশনজটের ভয়াবহতা তীব্র হবে। ফার্মেসি বিভাগ থেকে ২০১৫ সালে ¯œাতক শুরু করা এক শিার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা এমনিতেই প্রায় দেড় বছরেরও বেশি জটে আছি। ফার্মেসি বিভাগে ৫ বছরে অনার্স শেষ করতে হয় বিধায় আমদের মানসিকভাবে চাপে থাকতে হয়। আমাদের সমপর্যায়ের সবাই বিভিন্ন চাকরিতে জয়েন করছেন। অথচ আমরা মাত্র ৯ম সেমিস্টার দিচ্ছি। আজ আবার শিার্থী স্থগিত হলো। যেহেতু সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চলছে এ মূহুর্তে পরীা বন্ধ করে দেয়া অযৌক্তিক। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক ও স্বাস্থ্য সুরার বিষয়টি বিবেচনা করে ডিন ও প্রভোস্টদের সম্মতিক্রমে সকল ধরণের পরীা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আমাদেও কিছু করার নেই। সরকারী নির্দেশনা পেলে আমরা আবার পরীা শুরু করবো। |