শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১
ভারতে উৎপাদিত টিকা কোভ্যাক্সিন সম্পর্কে কতটুকু জানা যাচ্ছে
প্রকাশ: সোমবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২১, ৬:৪৬ পিএম |

 ভারতে উৎপাদিত টিকা কোভ্যাক্সিন সম্পর্কে কতটুকু জানা যাচ্ছেভারতে এখন দু'ধরনের করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া হচ্ছে, আর প্রতিবেশী দেশগুলোতেও হাজার হাজার ডোজ টিকা পাঠিয়েছে ভারত।

ভারতের সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী এর মধ্যে ১০ লাখেরও বেশি লোক টিকা নিয়েছেন। ভারতে দেয়া হচ্ছে দুই ধরণের টিকা।

একটি হচ্ছে যুক্তরাজ্যে উদ্ভাবিত অক্সফোর্ড-এ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা - ভারতে স্থানীয়ভাবে যার নাম দেয়া হয়েছে 'কোভিশিল্ড'। আর দ্বিতীয়টি হলো কোভ্যাক্সিন - যা ভারত-বায়োটেক নামে একটি স্থানীয় ফার্মসিউটিক্যাল কোম্পানির তৈরি।

ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ এই দুটি টিকাকেই সবুজ সংকেত দিয়েছে।

ভারতে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় টিকাদান কর্মসূচি শুরু করার পরপরই দেশটি তার প্রতিবেশী দেশগুলোতে হাজার হাজার ডোজ কোভিড-১৯এর টিকা পাঠিয়েছে।

এই টিকাগুলো সম্পর্কে আমরা কতটুকু জানি?
ভারতে উদ্ভাবিত কোভ্যাক্সিন কীভাবে কাজ করে?

টিকা তৈরির ক্ষেত্রে বিশ্বের এক নেতৃস্থানীয় দেশ হলো ভারত। তাদের ছ'টি বড় আকারের টিকা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান আছে যা পৃথিবীর ৬০ শতাংশ টিকা উৎপাদন করে।

ভারত বায়োটেক নামে ২৪ বছরের পুরোনো একটি টিকা উৎপাদনকারী কোম্পানি এই কোভ্যাক্সিন উদ্ভাবন করেছে। তারা এযাবৎ ১৬টি টিকা তৈরি করেছে এবং ১২৩টি দেশে তা রপ্তানি করে থাকে।

কোভ্যক্সিন টিকাটি তৈরি হয়েছে মৃত করোনাভাইরাস দিয়ে - যাকে বলে 'ইনএ্যাক্টিভেটেড ভ্যাকসিন' - যা নিরাপদে ইনজেকশন আকারে মানুষের শরীরে দেয়া যায়।

ভারত বায়োটেক এ জন্য করোনাভাইরাসের একটি নমুনা ব্যবহার করেছে - যা পৃথক করেছে ভারতেরই ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি।
ভারতে উৎপাদিত কোভ্যাক্সিন টিকা

ভারতে উৎপাদিত কোভ্যাক্সিন টিকা

এটা মানবদেহে ইনজেকশন আকারে দেয়া হলে - রোগপ্রতিরোধী দেহকোষগুলো তখনও মৃত করোনাভাইরাসটিকে 'চিনতে পারে' এবং দেহের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে জাগিয়ে তোলে । তখন ভাইরাসটির বিরুদ্ধে দেহে এ্যান্টিবডি তৈরি হতে থাকে।
কোভ্যাক্সিন কতবার নিতে হয়?

কোভ্যাক্সিন টিকার দুটি ডোজ নিতে হয় চার সপ্তাহের ব্যবধানে। ভ্যাক্সিনটি সংরক্ষণ করতে হয় ২ ডিগ্রি থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়।

ভারত বায়োটেক বলছে, তাদের কাছে দুই কোটি ডোজ কোভ্যাক্সিনের মজুত আছে।

তা ছাড়া তাদের লক্ষ্য, এ বছরের শেষ নাগাদ ভারতের দুটি শহরে থাকা তাদের চারটি কারখানা থেকে ৭০ কোটি টিকা তৈরি করা হবে।
কোভ্যাক্সিন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে কেন?

বিতর্কটা শুরু হয় ভারতের নিয়ন্ত্রক সংস্থার একটি বক্তব্যের পর।

তারা জানায়, "জরুরি পরিস্থিতিতে জনস্বার্থে পূর্ব-সতর্কতা হিসেবে সীমিত ব্যবহারের জন্য" এই টিকাটি অনুমোদিত হয়েছে।

তখন বিশেষজ্ঞরা বিস্ময় প্রকাশ করেন, যখন টিকাটির ট্রায়াল চলছে তখন কীভাবে লক্ষ লক্ষ ঝুঁকিতে থাকা মানুষের জরুরি ব্যবহারের জন্য এটাকে অনুমোদন দেয়া হলো?












সর্বশেষ সংবাদ
চৌদ্দগ্রামে সুস্থ পাঠক সুস্থ সমাজ শীর্ষক হেলথ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
দেবীদ্বারে সড়ক দূর্ঘটনায় কলেজ ছাত্রের মৃত্যু
অভিশপ্ত সেই রাত ভুলে যেতে চান স্মিথ
পাশের হার-জিপিএ ৫ বেড়েছে কুমিল্লায়
জিপিএ-৫ এ কুমিল্লা বোর্ডের সেরা ২০ স্কুল
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
জিপিএ-৫ এ কুমিল্লা বোর্ডের সেরা ২০ স্কুল
ব্রাহ্মণপাড়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
কাউকে হয়রানী করলে ছাড় পাবেন না: এমপি বাহার
সপ্তম ধাপে দেবিদ্বার-বুড়িচংয়ে ইউপি নির্বাচন
এমপিও বিহীন রাধানগর উচ্চ বিদ্যালয়ে শতভাগ পাস, জিপিএ ৫ পেয়েছে ১০ জন
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২ | Developed By: i2soft