শিরোনাম: |
নতুন কূপে আশার আলো
জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হলো দৈনিক ২ কোটি ঘনফুট গ্যাস
|
![]() কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন শ্রীকাইল-২ (মকলিশপুর) গ্যাস ক্ষেত্রের নতুন কূপ থেকে দৈনিক ২০ মিলিয়ন (২ কোটি ঘনফুট) গ্যাস যুক্ত হয়েছে জাতীয় গ্রিডে। গতকাল বুধবার দুপুরে গ্যাসফিল্ড ইনচার্জ প্রকৌশলী মোঃ শাহজাহান বিষয়টি দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মঙ্গলবার বেলা দেড়টা থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ২০১৩ সালের জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসে উদ্বোধনের মাধ্যমে প্রথম গ্যাস উত্তোলন করা শুরু হয়। এ কূপের উপরের স্তর থেকে প্রতিদিন ৬০-৭০ লাখ ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন হয়েছিল। এখন ওই স্তরটি বন্ধ করে নতুন স্তর থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়েছে। যা থেকে বর্তমানে গ্যাস উত্তোলন হবে দৈনিক ২০ মিলিয়ন (২ কোটি ঘনফুট)। বিদেশ থেকে আমাদের বিপুল পরিমান তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করতে হয়। এই নতুন কূপের গ্যাস যদি এলএনজি খাতে ব্যবহার করা যায় তাহলে বিপুল পরিমানে রাজস্ব আহরণ সম্ভব হবে। এর আগে গত ২১ নভেম্বর শনিবার গ্যাসফিল্ড ইনচার্জ প্রকৌশলী মোঃ শাহজাহান বলেছিল, টানা ৫৫ দিন অনুসন্ধানের পর শ্রীকাইল গ্যাস ফিল্ডের ৪নং কূপে গ্যাসের নতুন স্তরের সন্ধান পাওয়া যায়। নতুন স্তরে অন্তত ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার কোটি ঘনফুট গ্যাস থাকতে পারে। উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে বাপেক্সের তত্ত্বাবধানে শ্রীকাইল অনুসন্ধান গ্যাস কূপ খনন প্রকল্প (সোনাকান্দা, মোহাম্মদপুর, ঘোড়াশাল) স্থানে ১নং কূপ খনন করা হলেও অজানা কারণে এই কূপ থেকে আর গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে ১ নং কূপের গ্যাস ক্ষেত্রটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। পরবর্তীতে পার্শ্ববর্তী বাঙ্গরা পূর্ব ইউনিয়নের মকলিশপুরে ২০১৩ সালে শ্রীকাইল-২ গ্যাস ক্ষেত্রের ৩টি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন করে জাতীয় গ্রীডে যুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে ২০২০ সালের শুরুর দিকে পাশ্ববর্তী নবীনগর উপজেলার (হাজীপুর, লাউর ফতেহপুর) শ্রীকাইল ইস্ট রুপকল্প-১ নতুন একটি গ্যাস ক্ষেত্রের উত্তোলন কাজ সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত এই গ্যাসক্ষেত্র থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সংযোগ লাইন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়নি। প্রায় ৫ কি.মিঃ গ্যাস লাইন নতুন সংযোজন করলেই জাতীয় গ্রীডের সাথে শ্রীকাইল পূর্ব গ্যাস ক্ষেত্রটি সংযুক্ত হবে। এ ছাড়াও শ্রীকাইল সরকারি কলেজের পূর্বে বিগত ৩ বছর পূর্বে বাপেক্সের অনুসন্ধানে একটি গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। ইতিমধ্যে এই কূপের চারপাশে বালু দিয়ে ভরাট করা ও সংযোগ সড়কের কাজ চলছে। ‘আমাদের গ্যাস আমাদের অধিকার' শীর্ষক সংগঠনের নেতা ও সাংবাদিক এমকেআই জাবেদ দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে বলেন, গ্যাস আমাদের এলাকা থেকে উত্তোলিত হচ্ছে এবং কৃষি জমির নিচ ও এলাকার উপর দিয়ে জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করা হয়, অথচ আমরা অবহেলার শিকার হচ্ছি। আমাদের গ্যাস সারা দেশে সরবরাহ হচ্ছে তা যেমন গর্বের, তেমনি আমাদের গ্যাস আমাদের ভোগ করার ন্যায্য অধিকারও রয়েছে। যদি এলাকায় আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভাবে গ্যাস প্রদান করা হয়, তাহলে গ্রামের মানুষের জীবন যাত্রার মানোন্নায়ন হবে এবং শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ার সুযোগ হলে অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। |