
সচিবালয়ের মত পদোন্নতির দাবীতে বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতি (বাকাসস) কেন্দ্রীয় কমিটির আহবানে সারা দেশে ৭ম দিনেও পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে। বাংলাদেশের সকল কালেক্টরেটে কর্মরত জেলা উপজেলার কর্মচারীরা একযোগে পদ পরিবর্তন/সচিবালয়ের মত পদোন্নতি ও গ্রেড উন্নতির দাবীতে এ কর্মবিরতি পালন করে আসছে। তারই অংশ হিসেবে কুমিল্লা কালেক্টরেটে কর্মচারীরা সকাল ৯টায় হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে এদিন কর্মসূচিতে যোগ দেন এবং মিছিল মানববন্ধন করেন। সকালে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে এ কর্মসূচি শুরু করেন। সারাদিন কর্মচারীরা মিছিল এবং সমাবেশ করেন। জাগরণের গান বাজিয়ে আন্দোলনকে উদ্ধুদ্ধ করেন। আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সফিউল আহমেদ বাবুল। তিনি তাদের যৌক্তিক দাবী মেনে নেয়ার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানান। প্রতিদিন বিকালে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন এবং আন্দোলন বেগবান করার জন্য সারা দেশের মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীদের আহবান জানান। এদিন বক্তব্য রাখেন কালেক্টরেট সহকারী সমিতি কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি মো: আবু হানিফ, সিনিয়র সহসভাপতি সুলতান মোঃ নাছির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক জনাব মো: আরিফুর রহমান, সহসভাপতি মো: আবু বক্কর ছিদ্দিক হেলাল, আবদুর রহিম, হাবিবুর রহমান, আবদুল হাকিম, মোজাফ্ফর হোসাইন, হালিমা বেগম, কোহিনুর আক্তার, সহ সাধারণ সম্পাদক ইমাম উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান, সদস্য সাইফুল ইসলাম মুন্সী, অর্থ সম্পাদক আমান উল্লাহ, সদস্য মাইনউদ্দিনসহ প্রমুখ। দীর্ঘদিনের দাবীকৃত পদবী পরিবর্তনে তাদেরকে বারংবার আশ্বাস দিয়ে কোন কাজ না হওয়ায় তারা কর্মবিরতি শুরু করেছে বলে জানান। তারা জানান মে ২০১৪ ২য় পাক্ষিক গোনীয় প্রতিবেদন এবং জানুয়ারি ২০২০ এর ২য় পাক্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মাঠ প্রশাসনে কর্মরত তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীগণের পদবি পরিবর্তন এবং বেতন স্কেল উন্নীতকরণের প্রস্তাব যথাযথভাবে বিবেচনাক্রমে নিষ্পত্তি করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় অনুমোদন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ১৭ জুন ২০১৪ তারিখে ১৭৫ নং স্মারকে এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখের ১৩৩ নং স্মারকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ আদেশগুলো আজও প্রতিপালন করা হয়নি। বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, উপজেলা ভূমি অফিসের ৩য় শ্রেণীর সকল কর্মচারীরা এ কর্মসূচি পালন করছে। এতে করে কালেক্টরেটে আশা সেবাপ্রত্যাশীরা দুর্ভোগে পড়েছে। বক্তারা বলেন দীর্ঘদিন থেকে জানিয়ে আসা তাদের যৌক্তিক দাবী মেনে নেওযার জন্য। কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে ১৫-৩০ নভেম্বর পর্যন্ত পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করবেন তারা। এর মধ্যে দাবী পূরণ না হলে ঢাকায় মহাসমাবেশের মাধ্যমে বৃহত্তর আন্দোলনে কর্মসূচি দেয়া হবে বলে জানান। বিভাগীয় কমিশনার অফিস, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, উপজেলা ভূমি অফিসের ৩য় শ্রেণীর কর্মচারীরা সচিবালয়ের ন্যায় তাদের পদ পদবি পরির্তন ও পদোন্নতি দাবীতে বিগত ২০ বছর যাবত আবেদন জানিয়ে আসছিল।