ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
বউ যখন কবুল বলেছিল, সেরকম আনন্দ হল ইভিএমে ভোট দিয়ে : শামীম ওসমান
Published : Sunday, 16 January, 2022 at 5:47 PM
বউ যখন কবুল বলেছিল, সেরকম আনন্দ হল ইভিএমে ভোট দিয়ে : শামীম ওসমানদিনভর অপেক্ষার পর একেবারে শেষ বেলায় নিজের ভোট দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। আজ রবিবার ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে নিউ চাষাড়া জামতলার আদর্শ স্কুল কেন্দ্রে তিনি ভোট দেন। শামীম ওসমান ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায় আসেন ভোট দিতে। এর আগে, গত দুই দিন ধরেই তিনি কোথায় ভোট দেবেন তা নিয়ে চলছিল জল্পনা-কল্পনা।

সাদা পাঞ্জাবি-পায়জামার সঙ্গে মুজিব কোট ও কালো চাঁদর গায়ে একাই ভোট কেন্দ্রে আসেন শামীম ওসমান। সেখানে পোলিং অফিসারের কাছে ফিঙ্গার প্রিন্ট যাচাই শেষে ঢুকে যান গোপন ভোট কক্ষে। ভোট শেষে বেড়িয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। নিজে নৌকায় ভোট দিয়েছেন জানিয়ে শামীম ওসমান বলেন, ‘নৌকার প্রার্থী হারবে না, যদি বলে কোনো কথা নেই। নৌকার বিজয়ে সম্পূর্ণ অবদান জনগণের।’
তিনি বলেন, ‘আমি নৌকার নির্বাচন করেছি। আমি অন্য কারও নির্বাচন করি নাই। হৃদয়ে কষ্ট আছে, রক্তক্ষরণ আছে। তবে আমি একটা কথা বুঝি, জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা পাঁচ বছর আগে একটা মিটিংয়ে বলেছিলেন, শামীম আমি নীলকণ্ঠী, আমি সব বিষকে হজম করি। সো অ্যাই অ্যাম অ্যা সোলজার অব শেখ হাসিনা। যুদ্ধের ময়দানে সেনাপ্রধান যেভাবে নির্দেশ দেবেন, সোলজার সেভাবে যুদ্ধ করবেন, সেটাই তার কর্ম। উনি আমার নেতা, উনি জাতির পিতার কন্যা। উনি যদি নীলকণ্ঠী হতে পারেন, আমারও নীলকণ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করা উচিত।’

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘নির্বাচনে জয় পরাজয় আছে, একজন জিতবেন, একজন হারবেন। আমি রাজনীতি করি, জাতীয় সংসদের একজন সদস্য। আজকে প্রথম ভোট দিলাম ইভিএমে। ভোটটা দিয়ে ভালো লাগলো। আমার বউ যখন কবুল বলেছিল, সেরকম আনন্দ হল ইভিএমে ভোট দিয়ে। আমার ফিঙ্গারপ্রিন্ট সবসময় ঝামেলা করে। আজকে করল না। তার মানে মেশিনটা ভালো।’

রিকশায় ভোট দিতে আসার বিষয়ে শামীম ওসমান বলেন, ‘আমি রিকশা করে ভোট দিতে এসেছি। আসতে আসতে যেটুকু খবর পেয়েছি নির্বাচন খুব সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সংঘাতময়, কথাটা এক ধরনের মানুষের কল্পনাপ্রসূত।’ তিনি বলেন, ‘যারা নির্বাচনের আগে গরীবের কাছে হাত পেতে ভোট চেয়েছেন, নির্বাচনের পর যেন তাদের পেটে লাথি না মারেন।’