ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
ব্রাহ্মণপাড়ায় ইউপি নির্বাচন
চেয়ারম্যান প্রার্থীর স্বাক্ষর নকল করে প্রার্থীতা প্রত্যারের চেষ্টা!
জহির শান্ত
Published : Monday, 6 December, 2021 at 8:10 PM
চেয়ারম্যান প্রার্থীর স্বাক্ষর নকল করে প্রার্থীতা প্রত্যারের চেষ্টা!কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী এক স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর স্বাক্ষর নকল করে তার প্রার্থীতা প্রত্যাহারের আবেদন করতে এসে ব্যর্থ হয়ে পালিয়েছে এক যুবক ও তার সহযোগীরা। সোমবার (৬ ডিসেম্বর) প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানায়, ৪র্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণপাড়ার ৮ইউনিয়নে আগামী ২৬ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ৬ ডিসেম্বর (সোমবার) ছিলো প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। এ দিন বিকেলে শেষ দিনের শেষ মুহূর্তে এসে উপজেলার ৮নং মালাপাড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান ভূইয়ার পক্ষে এক যুবক তার স্বাক্ষর নকল করে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের আবেদন করেন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাচন ও রিটারনিং কর্মকর্তার নিকট স্বন্দেহ হলে তারা ওই প্রার্থীর মোঠো ফোনে কল করলে মিজানুর রহমান জানান, তিনি তার প্রার্থীতা প্রত্যাহারের জন্য কাউকে পাঠাননি। তাকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজন বিভিন্ন পাঁয়তারা করছে। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে স্বাক্ষর নকল করে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের আবেদন করতে আসা ওই যুবক ও তার সহযোগীরা নির্বাচন কার্যালয় থেকে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. বুবুল আহাম্মেদ বলেন, সোমবার বিকেলে মালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচর্নে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান ভূইয়ার স্বাক্ষর নকল করে ও তার পক্ষে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেন এক যুবক। বিষয়টি আমাদের স্বন্দেহ হলে আমরা ওই চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ফোন দিই। কিন্তু তিনি কোন প্রার্থীতা প্রত্যাহার করবেন না এবং তার প্রার্থীতা প্রত্যাহারের জন্য কাউকে পাঠাননি বলে জানান। তখন আমরা ওই যুবক ও তার সহযোগীদের আটকের চেষ্টা করি। কিন্তু তৎক্ষণাৎ নির্বাচন কার্যালয় থেকে পালিয়ে যায়।
চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান ভূইয়া জানান, আমি বর্তমানে ঢাকায় স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি। আমার জনপ্রিয়তা দেখে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তার লোকজন দিয়ে আমার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করতে চেষ্টা চালিয়েছে। আমার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করতে আমি কাউকে বলিনি ও নির্বাচন কার্যালয়ে পাঠাইনি। যারা এ অপকর্মের সাথে জড়িত-তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।