ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
পানিতে ডুবল কুমিল্লা শহর
বৃষ্টির পানি সরানোর রাস্তা খুঁজে পাচ্ছেন না মেয়র
Published : Monday, 5 July, 2021 at 12:00 AM, Update: 05.07.2021 12:06:16 AM
বৃষ্টির পানি সরানোর রাস্তা খুঁজে পাচ্ছেন না মেয়রনিজস্ব প্রতিবেদক।। খাল ভরাট ও কালভার্ট ভেঙ্গে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধের ঘটনায় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের (কুসিক) মেয়রের কথা শুনেননি সড়ক ও জনপথ (সওজ) ও রেলওয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স দাবি করে সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, কুমিল্লা শহরের পানি বের করতে আউট লাইনের প্রয়োজন আছে। আমরা নগরীর প্রত্যেকটি সড়কের পাশে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন করেছি। ড্রেনের উপর ঢাকনা দিয়েছি ময়লা না ফালানো জন্য। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি শহরে জলাবদ্ধতা নিরসনে। কিন্তু শহরের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র খাল কান্দিখাল ভরাট করে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সড়ক উন্নয়নের কাজ করছে। আমি তাদেরকে একাধিকবার বলেছি কান্দিখাল ভরাট করা যাবে না, এটা শহরের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র খাল। এই খাল দিয়ে শহরের সকল পানি ডাকাতিয়া নদীতে প্রবাহিত হয়। আমি প্রতিমাসে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্তৃপক্ষকে বার বার অনুরোধ করেছি কান্দিখাল ভরাট না করা এবং বর্ষায় সড়ক উন্নয়ন কাজ বন্ধ রাখার জন্য। কিন্তু সড়ক ও জনপথ বিভাগ আমার কোন কথাই শুনেননি। কান্দিখাল ভরাট আমি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভরাট কাজে বাধা দিয়েছি। সাময়িক বন্ধ রাখার পর সিটি কর্পোরেশনের লোকজন চলে আসলে আবারও তারা রাতের অন্ধকারে ভরাট কাজ চালিয়ে যায়। কুমিল্লা শহরের পানি নিষ্কাশনে কান্দিখাল ছাড়াও রয়েছে রেইসকোর্স খাল। সেটিও বন্ধ করে দিয়েছে রেলওয়ে। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের দুই লেনের উন্নয়ন কাজ করতে গিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স রেইসকোর্স খালের সবগুলো কালভার্ট ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। ভেঙ্গে ফেলা কালভার্টগুলোর নিচ দিয়ে শহরের পানি নিষ্কাশন হতো। ভেঙ্গে ফেলা কালভার্টগুলোর মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে শাসনগাছা, ধর্মপুর রেলস্টেশন এলাকাসহ তিনটি কালভার্ট। এই কালভার্টগুলো ভেঙ্গে ফেলায় শহরে এখন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি বলেন, সড়ক ও জনপথ ভরাট করেছে কান্দিখাল আর রেলওয়ে কালভার্ট ভেঙ্গে বন্ধ করেছে রেইসকোর্স খাল। তাহলে আমি শহরের পানিগুলো কোন দিক দিয়ে বের করবো। পানি নিষ্কাশনের দুইটো খালই বন্ধ।
মনিরুল হক সাক্কু তার ব্যর্থতা স্বীকার করে আরও বলেন, আমার ব্যর্থতা আছে। তারপরও আমি চেষ্টা করেছি জলাবদ্ধতা নিরসন করে শহরকে সুন্দর করার জন্য।