ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
এসি-কার্পেট ফেরত দিলেন সেই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ঘুষ গ্রহণে তদন্ত শুরু
Published : Tuesday, 18 May, 2021 at 12:00 AM, Update: 18.05.2021 2:39:31 AM
এসি-কার্পেট ফেরত দিলেন সেই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ঘুষ গ্রহণে তদন্ত শুরুনিজস্ব প্রতিবেদক: ঘুষ গ্রহণ এবং দুর্নীতির অভিযোগে ওএসডি হওয়া কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহীনূর আলম নিয়ে যাওয়া সরকারি গাড়ির বাম্পার, এসি ও কার্পেট ফেরত দিয়েছেন। সোমবার (১৭ মে) ওএসডি হওয়া শাহীনূর আলম নিজেই গাড়ির বাম্পার, এসি ও কার্পেট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফেরত দিয়ে যান।
এর আগে ওএসডি হওয়ায় শাহীনূর আলমের বিরুদ্ধে ওঠা ঘুষ গ্রহণ এবং দুর্নীতির অভিযোগে তিন সদস্যের একটি তদন্তের কমিটি গঠন করা হয় হয়। এই তদন্ত কমিটির প্রধান কুমিল্লার তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শরফরাজ হোসেন খান ও দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ওএসডি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহীনূর আলম বিদায় নেওয়ার সময় সঙ্গে নিয়ে যাওয়া এসি, গাড়ির বাম্পার ও কার্পেট ফেরত দিয়েছেন।  সোমবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাজির হয়ে সামগ্রীগুলো ফেরত নিয়ে আসেন। পরে এসি, গাড়ির বাম্পার ও কার্পেট দাপ্তরিকভাবে গ্রহণ করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পল্লিচিকিৎসকদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে (ভাইরাল) পড়ার পর গত ২৬ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মোহাম্মদ শাহীনূর আলমকে ওএসডি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত ২৯ এপ্রিল তিনি দায়িত্ব ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কর্মকর্তার কার্যালয়ের করে নতুন এসি, মেঝের কার্পেট, স্বাস্থ্য কর্মকর্তার গাড়ির বাম্পার নিয়ে তিনি চলে যান।
ঘুষ গ্রহণ এবং দুর্নীতির ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান কুমিল্লার তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শরফরাজ হোসেন খান বলেন, তদন্ত কমিটির অন্য দুই সদস্য সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন ও চিকিৎসা কর্মকর্তা (এমও) চিকিৎসক ইশরাত জাহানকে নিয়ে সোমবার থেকে তিনি বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে উপজেলার ২০জন পল্লিচিকিৎসক এবং দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৪০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর লিখিত জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও লকডাউন ও ঈদুল ফিতরের কারণে তদন্ত কাজ শুরু করতে বিলম্ব হয়েছে। অতিদ্রুত তদন্ত কাজ শেষ করে প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।