আগামী ২১ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকা বাংলাদেশে আসবে। ২৬ জানুয়ারি থেকে রেজিস্ট্রেশন হবে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে জাতীয়ভাবে টিকা দেওয়া শুরু হবে। ২৫ লাখ নয়, প্রথম দফা দেশে করোনার টিকা দেওয়া হবে ৫০ লাখ মানুষকে।
সোমবার (১১ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৮ বছরের নিচে এবং গর্ভবতী নারীদের টিকা দেওয়া হবে না। প্রতিটি কেন্দ্রে দুই জন নার্স থাকবেন, যারা টিকা দেবেন। বাকি ৪ জন থাকবেন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে। রেজিস্ট্রেশন করার পর এসএমএস করে টিকা নেওয়ার দিন ও সময় জানানো হবে।
খুরশীদ আলম বলেন, বেক্সিমকো ফার্মা আমাদের জানিয়েছে আগামী ২১ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে এই টিকা বাংলাদেশে আসবে। টিকা আসার পর দুইদিন বেক্সিমকোর ওয়্যারহাউজে থাকবে। সেখান থেকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের তালিকা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
আগে সিদ্ধান্ত ছিল প্রথম ডোজের পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে ২৮ দিন পর। এই সে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে ৮ থেকে ১২ সপ্তাহ পর। এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, এর আগে আমাদের জানানো হয়েছিল প্রথম ডোজ দেওয়ার ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে। তবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার নতুন তথ্য অনুযায়ী, প্রথম ডোজ দেওয়ার দুই মাস পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যাবে। এ কারণে প্রথম মাসেই একসঙ্গে ৫০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। গতকাল নতুন নিয়ম জানার পর আমরা পরিকল্পনায় পরিবর্তন এনেছি। প্রথম যে ৫০ লাখ টিকা আসবে তা দিয়ে দেওয়া হবে। দুই মাসের আরও টিকা চলে আসবে।