Published : Sunday, 8 November, 2020 at 12:00 AM, Update: 08.11.2020 12:49:34 AM

মাসুদ আলম ||
র্যালি-আলোচনা
সভা ও সম্মনা প্রদানসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে কুমিল্লায় ৪৯তম জাতীয় সমবায়
দিবস উৎযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে শনিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে
কুমিল্লা টাউনহল নগর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।
‘বঙ্গবন্ধুর
দর্শন, সমবায় উন্নয়ন’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য
রাখেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর
মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘কুমিল্লায়
সমবায়কে অনেক গুরুত্ব হয়েছে। বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড)
কুমিল্লায় সমবায়কে অনেক সমৃদ্ধ করেছে। বলা যায়- কুমিল্লা থেকেই সমবায়ের
যাত্রা শুরু হয়েছে। কুমিল্লা কুমিল্লা এগুলেই যেমন বাংলাদেশ এগিয়ে যায়Ñ ঠিক
তেমনি সমবায় এগুলেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।’
এমপি বাহার বলেন, সমবায়
রাষ্ট্রের দ্বিতীয় মালিক। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে নয় মাস আমাদের কৃষকরা
মাছে ফসল ফলাতে পারেননি। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশকে
গর্তের কিনার থেকে তুলে বুকে নিয়ে সমবায়ের মাধ্যমে ক্ষুধা ও
দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করতে চেয়ে ছিলেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে
কুমিল্লায় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমীতে এক সভায় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন
সমবায়ের ভিত্তিতে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করুন। কিন্তু দেশ বিরোধী সেই
চক্রান্তকারীরা বঙ্গবন্ধু সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে দেননি। বঙ্গবন্ধুকে
হত্যার মধ্যদিয়ে ঘাতকরা জাতিরজনকের সব স্বপ্ন মাঠির সাথে মিশিয়ে দিয়েছেন।
তারপরও তাদের চক্রান্ত বন্ধ হয়নি। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর যে সমবায়কে দিয়ে
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছেন, সেই সমবায়গুলোকে ধ্বংস করে
দিয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান,
দারিদ্র্য বিমোচনসহ সব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন, যেখানে তিনি কার্যকর মাধ্যম
হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন সমবায়কে।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল
মীরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা কোটবাড়ি
সমবায় একাডেমির অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) হরিদাস ঠাকুর, সদর উপজেলা পরিষদের
চেয়ারম্যান এডভোকেট আমিনুল ইসলাম টুটুল, জেলা সমবায় কর্মকর্তা আল-আমিন এবং
এড. কাজী নাজমুছ সাদাত প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মোঃ আব্দুস সাত্তার।
আলোচনা সভার পূর্বে প্রধান অতিথি ও সভাপতি জাতীয় পতাকা ও সমবায় পতাকা
উত্তোলন করেন এবং আকাশে বেলুন উড়িয়ে দিবসটির শুভ উদ্বোধন করেন। আলোচনা সভা
শেষে জেলার বিভিন্ন ক্যাটাগরির শ্রেষ্ঠ সমবায়ী, শ্রেষ্ঠ সমবায় সমিতি ও
সর্বোচ্চ সিডিএফ প্রদানকারী সমিতির মধ্যে ক্রেষ্ট ও সম্মাননা সনদ প্রদান
করা হয়। তাছাড়া ও দিনসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের জন্য ভূমিকা রাখার
জন্য সর্বোচ্চ সহযোগিতা করায় তিনটি সমিতিকে ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করা
হয়।
অনুষ্ঠানে সমবায়ে অবদান রাখায় বিশেষ ক্যাটাগরিতে নারী নেত্রী
দিলনাশী মোহসেন ও এড. কাজী নাজমুছ সাদাতকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।