জহির শান্ত: গেলো ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৫ জনের শরীরে সংক্রমণের মধ্য দিয়ে কুমিল্লায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা তিন শ ছাড়িয়েছে।
আর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকা প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৪ তে। তাদের ৯ জনের বাড়িই জেলার দেবীদ্বার উপজেলায়।
এছাড়াও সদর উপজেলায় দুইজন, মুরাদনগরে ১জন, চান্দিনায় একজন ও মেঘনা উপজেলায় একজন কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

সর্বশেষ করোনার উপসর্গ নিয়ে পরীক্ষা করানোর একদিন পর কুমিল্লায় মারা গেছেন সোনালী ব্যাংকের এক কর্মকর্তা। তার নাম মাহাবুব এলাহী। শনিবার সকালে করোনা পরীক্ষা করানোর পর রবিবার রাতে মারা যান তিনি। পরে তার রিপোর্ট পজেটিভ আসে।
কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সোমবার (১৮ মে) কুমিল্লায় নতুন করে আরো ২৫জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩০৮ জনে।
নতুন আক্রান্ত ২৫ জনের মধ্যে আদর্শ সদরে ২ জন, চান্দিনায় ২ জন, দাউদকান্দির ৩ জন, সদর দক্ষিণে একজন, লাকসামে ৭ জন, নাঙ্গলকোটে ৪ জন, বুড়িচংয়ে একজন, কুমিল্লা নগরী ও কুমিল্লা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ৫ জন।

এছাড়াও এ সময়ে এক ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া ব্যক্তি কুমিল্লা নগরীর মৌলভীপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
ডা. নিয়াতুজ্জামান জানান, কুমিল্লায় করোনা জয় করে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৫৩ জন। এর মধ্যে নতুন করে সদর দক্ষিণের ৩ জন ও দাউদকান্দির একজন সুস্থ হয়েছেন। করোনাজয়ী এ চারজনকে সোমবার ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (১৮ মে) দুপুর পর্যন্ত কুমিল্লা জেলা থেকে সর্বমোট ৫ হাজার ২১০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত রিপোর্ট এসেছে ৪ হাজার ৮৮২ জনের। এর মধ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩০৮ জন। আর মোট মারা গেছেন ১৪ জন। একই সময়ে জেলায় সুস্থ হয়েছেন ৫৩ জন।
জানতে চাইলে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুজিবুর রহমান জানান, রবিবার রাতে মারা যাওয়া ব্যাংক কর্মকর্তা মাহাবুব এলাহী করোনার উপসর্গ নিয়ে শনিবার সকালে এ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করান। পরদিন রাতে মারা যান তিনি। তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
‘সোমবার সকালে তাকে কোভিড-১৯ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফন করা হয়’। যোগ করেন তিনি।