Published : Wednesday, 29 April, 2020 at 4:09 PM, Update: 29.04.2020 5:49:58 PM

স্টাফ রিপোর্টার ।।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের শাকতলা এলাকায় পারিবারিক কোলহের জেরে সালমা আক্তার (২০) কে দা দিয়ে মাথায় আঘাত করে তার আপন চাচা শরীফ আহম্মেদ । আহত সালমা আক্তার কুমিল্লা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন । এ বিষয়ে সদর দক্ষিণ থানায় আহত সালমার ছোটবোন সেলিনা আক্তার বাদি হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন । পুলিশ গতকাল এজাহার টি তদন্ত করে আমলে নিয়েছে ।
মামলা বিবরণ থেকে জানাযায়, সদর দক্ষিণ থানার শাকতলা গ্রামের বাসিন্দা সেলিনা আক্তার স্বপ্না (১৯) পিতা: মৃত. ফরিদ আহম্মেদ ও তাদের পরিবারকে গত ২৩ এপ্রিল নিজ বাড়ির থেকে উচ্ছেদের উদ্দেশ্যে আক্রমন চালায় তাহাদের আপন চাচা, চাচি, চাচাতো ভাই-বোন ও ফুফু ।
এ বিষয়ে সেলিনা আক্তার বাদি হয়ে একটি এজাহার দাখিল করে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায়।
এজাহারে উল্লেখ করেন, গত ১ বছর পূর্বে আমার পিতা ফরিদ আহম্মেদ মৃত্যুবরণ করেন । আমার পিতার জীবিত থাকা অবস্থায় আমাদের দাদার সম্পত্তিন বন্টনের পর আমার পিতার নির্ধারিত ভুমিতে গৃহনির্মান করে শান্তিপর্ণ ভাবে বসবাস করিতেছি । আমার পিতার হঠাৎ মৃত্যু হইলে আমার চাচা ও ফুফুরা মিলিত হয়ে আমাদের বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে দখল নেয়ার জন্য বিভিন্ন সময় আমাদের উপর অন্যায় অত্যাচার শুরু করে । এই বিষয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিক বার সুরাহার চেষ্টা করিলেও বিবাদীগন আমার চাচা ও ফুফু সমাজের সালিশবৈঠক না মানিয়া আমাদের উপর আক্রমন চালিয়ে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা চালায় ও তাহারা আমাদের ঘরে প্রবেশ করিয়া ভাংচুর চালানোর হুমকিদমকি দিয়া আসিতেছিল ।

গত ২৩/৪/২০২০ইং তারিখ বিকাল বেলায় বিবাদী শরিফ আহম্মেদ তাহার স্ত্রী পুত্রকন্যা ও বোন কে নিয়ে আমাদের বসতে এসে ভাংচুর চালায় । এর প্রতিবাদ করাতে আমার বড় বোন সালমা আক্তাকে চাচাতো ভাইরা গলা চিপে ধরে ও ১নং বিবাদি আমার চাচার হাতে থাকা দা দিয়া আমার বোন সালমা আক্তারের মাথায় কোপদিয়ে জখম করে ।
এ সময় বোন কে বাচাইতে গেলে তাহাদের সাথে থাকা অন্যসদস্যরা লাঠিসোটা দিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে পিটিয়ে আহত করে এবং ঘরের ভিতরে ঢুকিয়া হামলা চালিয়ে ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে । এসময় আমার চাচাতো ভাই আলি হাসান শান্ত আমার মা ও বোনের গলার স্বর্ণের ২টি চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় আমাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদিগন আমাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়া ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরবর্তীতে লোকজন আমাদেরকে উদ্ধার করিয়া মাথায় আঘাত প্রাপ্ত বোনকে কুমিল্লা সদর হাসপালে ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।