
নিজস্ব প্রতিবেদক ||
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) মরণ কামড়ে থমকে গেছে সব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, পুরো বিশ্ব পড়েছে আর্থিক মন্দার কিনারে। এর প্রভাব ইতোমধ্যে পড়েছে দেশের অর্থনীতিতেও। করোনার সংক্রমণরোধে সারাদেশ রয়েছে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিতে। ফলে সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের অফিস আদালত বন্ধ। বন্ধ সব ধরনের গণপরিবহনও। বন্ধ দোকান-পাট, হোটেল-রেস্টুরেন্টসহ অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
এতে প্রতিদিন হাজার কোটি টাকার অর্থনৈতিক ক্ষতিতে পড়েছে দেশ। এর ক্ষতি কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা বলতে পারছেন না খোদ অর্থমন্ত্রী। এ অবস্থার মধ্যেই চলতি বাজেটের মেয়াদ শেষ হয়ে আসছে। সংবিধান অনুযায়ী আসছে জুন মাসেই আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট জাতীয় সংসদে উত্থাপন করতে হবে। তাই কিছুটা ব্যাঘাত ঘটলেও সাধারণ ছুটি উপেক্ষা করে বর্তমানে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারা বাজেট প্রণয়নের কাজ করে যাচ্ছেন। কারণ নির্ধারিত সময়েই বাজেট ঘোষণা করতে চান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আর করোনার অভিঘাতকে গুরুত্ব দিয়েই দ্রুতগতিতে প্রস্তুত হচ্ছে আগামী বাজেট।
এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, ‘করোনায় অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবেলায় নতুন পরিকল্পনা নিয়ে পাঁচ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রণয়নে কাজ চলছে। নির্ধারিত সময়ে তথা আগামী জুন মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার (৪ জুন) বা দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার (১১ জুন) ঘোষণার লক্ষ্য নিয়েই বাজেট প্রণয়নের কাজ চলছে।’
বাজেট প্রণয়েনের সাথে সংশ্লিষ্ট ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘দেশে করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি যদি আরও খারাপ হয় অর্থাৎ দীর্ঘমেয়াদী হয় তাহলে অর্থমন্ত্রীর বিকল্প পরিকল্পনাও রয়েছে। সেটি হচ্ছে সংবিধান অনুযায়ী তিন মাসের একটি অস্থায়ী বাজেট ঘোষণা হতে পারে। এ অস্থায়ী বাজেট চলাকালীন অর্থমন্ত্রী পুনরায় পুরো অর্থবছরের বাজেট ঠিক করবেন। তিন মাস পর পুনরায় বাজেট ঘোষণা করবেন অর্থমন্ত্রী।’
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ছয় লাখ কোটি কিংবা তারও বেশি টাকার আগামী বাজেট ঘোষণার পরিকল্পনা ছিল অর্থমন্ত্রীর। কিন্তু করোনার কারণে সেটি কমিয়ে ৫ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা করা হচ্ছে। যা চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে প্রায় ১১ শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার হচ্ছে পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।