
প্রবাস ডেস্ক । ।
ইউরোপের প্রায় সবগুলো দেশকে ইতোমধ্যে গ্রাস করে ফেলেছে কোভিড-১৯। ভাইরাসটি বিশ্বজুড়ে মহামারি রূপ ধারণ করেছে। বিভিন্ন দেশ যথারীতি মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। বিশ্ব আজ নিস্তব্ধ হয়ে গেছে, মৃত্যু দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি থমকে গেছে গোটা বিশ্বের অর্থনীতির ঘুর্ণিয়মান চাকা।
আক্রান্তের দিক থেকে সবার শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র হলেও মৃত্যুর সংখ্যা তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে ইতালির পর স্পেন। এরপর ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, পর্তুগাল, সুইডেনসহ অন্যান্য দেশ। সাইপ্রাসেও ইতোমধ্যে মারা গেছেন বেশ কয়েকজন। এতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভয়ে ভয়ে জীবন কাটছে। থাকতে হচ্ছে গৃহবন্দি হয়ে। গত ২৪ মার্চ থেকে সাইপ্রাসে চলছে তিন সপ্তাহের জন্য ‘লকডাউন’।
আজ সাইপ্রাসের গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, দেশটিতে লকডাউনের শেষ তারিখ ১৩ এপ্রিল কিন্তু লকডাউনের সময় বর্ধিত করে তা এপ্রিলের ৩০ তারিখ পর্যন্ত করা হবে। সোমবার এক সভায় সাইপ্রাসের প্রধানমন্ত্রী এসব জানান। খ্রিস্টীয় ধর্মীয় উৎসব গ্রিক ইস্টারের তারিখ ১৯ এপ্রিল কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে এই উৎসব পিছিয়ে আগামী মে মাসে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আগামী বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর চূড়ান্তভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে ইস্টারের তারিখ। প্রবাসীদের সবার কাজ বন্ধ, কাজ না থাকায় আর্থিক সঙ্কটে আছেন সকলে। সবাইকে বাসায় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। বিশেষ প্রয়োজন সাপেক্ষে অনুমতিপত্র নিয়ে বের হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সাইপ্রাসের প্রধানমন্ত্রী নিকোস আনাস্তাসিয়াদিস।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সন্ধায় এক বিবৃতিতে জানান, সাইপ্রাসে নতুন করে ১৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নিশ্চিত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত মোট ৪৬৫ জন আক্রান্ত হয়েছে। এই ৪৬৫ জনের মধ্যে নিহতের সংখ্যা ১১ জন, সেবা নিয়ে সুস্থ হয়েছে ৪৫ জন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪১১ জন, মারাত্মক অসুস্থ হয়ে আইসিইউতে আছেন ১১ জন।
এখন পর্যন্ত মোট ১১ হাজার ৬৬৪ জনের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে নিরলসভাবে কাজ করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। অপরদিকে নর্দান সাইপ্রাসে এখন পর্যন্ত মোট ৯১ জন আক্রান্ত হয়েছে। একজন পুরুষ ও একজন নারী মোট ২ জন নিহত হয়েছে।
সাইপ্রাসে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের মধ্যে বিরাজ করছে আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তা। এখন পর্যন্ত সাইপ্রাসে কোনো বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি।