
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার মারুকা ইউনিয়নের চক্রতলা গ্রামের একটি বাড়ির ৭টি পরিবারকে লকডাউন করার ১২ ঘন্টা পর মারা গেছেন করোনার লক্ষণ উপসর্গ থাকা এক ব্যক্তি। রবিবার সকাল পৌণে ৮ টায় তিনি মারা যান। ৫৫ বছরের বেশি বয়সী ঐ ব্যক্তির মারা যাওয়ার বিষয়টি দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল ইসলাম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শনিবার (৪ এপ্রিল ) রাত সাড়ে ৮ টায় চক্রতলা গ্রামের ৫৫ বছরের বেশি বয়সী এক ব্যক্তির অসুস্থতার লক্ষণকে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ উপসর্গের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ মনে করায় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সুপারিশে সেই বাড়ির ৭ টি পরিবারকে লক ডাউন করেছিল। রবিবার সকালে তার নমুনা সংগ্রহ করা হবে মর্মে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছিলেন। কিন্তু সকাল পৌণে ৮টায় আলেক খান নামের ঐ ব্যক্তি মারা যান। দুপুর পৌণে ১টায় নিহত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
জানা গেছে, চক্রতলা গ্রামের ৫৫ বছরের বেশি বয়সী এক ব্যক্তির সম্পূর্ণ বাড়িসহ আশেপাশের ৭টি পরিবারকে সম্পূর্ণ পুলিশ প্রহরায় লকডাউন ঘোষণা করার সময় সেখানে উপস্থিত থেকে দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল ইসলাম খান, দাউদকান্দি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ সেলিম শেখ, দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো: শাহীনূর আলম সুমন,আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন ও দাউদকান্দি মডেল থানা পুলিশ বিষয়টি তদারকি করেন।