Published : Thursday, 5 December, 2019 at 12:00 AM, Update: 05.12.2019 2:26:30 AM

ইসমাইল নয়ন ॥ কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মরা গাছ এখন প্রাণ নাশের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সামান্য ঝড় বাতাসে এসব গাছ ভেঙে পড়ায় দুর্ঘটনায় পড়ছেন পথচারী ও যানবাহন। এতে ঘটছে প্রাণহানির ঘটনাও। দুর্ঘটনা রোধে এসব ঝুঁকিপূর্ণ মরা গাছ কেটে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীরা জানান, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা সদর থেকে দুলালপুর, গোপালনগ, শিদলাই সড়ক এবং নাইঘর মোড় থেকে হরিমঙ্গল, ব্রাহ্মণপাড়া থেকে মিরপুর সড়কসহ বিভিন্ন সড়কের দুইপাশে দাঁড়িয়ে শতাধিক মৃত, অর্ধমৃত ও শুকিয়ে যাওয়া গাছ। সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং সরকারের বিভিন্দ দপ্তরের অন্তরভূক্ত এসকল সড়কের দুই পাশে লাগানো কড়ই ও শিশু প্রজাতির এসব বড় গাছ মারা গেছে অনেকদিন আগে। এসব মরা গাছ ও গাছের ডালপালা সামান্য বাতাস বা ঝড়েই ভেঙে পড়ছে সড়কের ওপর। আর এতে দুর্ঘটনায় পড়ছে পথচারী ও যাত্রীবাহী ছোট বড় বিভিন্ন যানবাহন। উপজেলা দুলালপুর গ্রামের পূর্বপাড়া এলাকায় দুলালপুর ব্রাহ্মণপাড়া সড়কে গত বছর খানেক পূর্বে এসব মরা গাছের চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই এক গৃহ বধুর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। এ উপজেলার বিভিন্ন সড়কের পাশে দাড়িয়ে থাকা মরা গাছ ও গাছের ডালপালা ভেঙে পড়া পরছে যে কোন সময়। এতে ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাতায়াত করতে হচ্ছে পথচারীদের। এছাড়াও এসব মরা গাছ ভেঙে সড়কের সড়কের পাশের দোকান ঘরও বসত বাড়ীতে পরছে এবং অনেকের দোকান ঘরের চালে এখনো পড়ে রয়েছে। মরা গাছের কারণে দুর্ঘটনার ঝুকি কমাতে দ্রুত এসব গাছ কেটে সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। এসময়, মরা গাছগুলো কেটে নিয়ে এসব স্থানে নতুন করে গাছের চারা রোপণের কথা বলছেন তারা।
উপজেলার উপজেলার দীর্ঘভূমি গ্রামের ইমন মিয়া বলেন, ‘ব্রাহ্মণপাড়া দুলালপুর সড়কটি খুবই ব্যস্ত একটি সড়ক। মরা গাছের কারণে আতঙ্কের মধ্য দিয়ে যাতায়াত করতে হয় এই সড়কে। গত বছর খানেক পূর্বে বাচ্চাকে স্কুলে দিয়ে বাড়ী ফেরার সময় এই সড়কে মরা গাছ পরে এক গৃহ বধুর মৃত্যু হয়েছে। যখন তখন ডালপালা ভেঙে পড়েছে। এতে দুর্ঘটনার ঝুকি ভারছে। উপজেলার চারি পাড়া এলাকার বাসিন্দা বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘অনেকদিন হয় কুমিল্লা মিরপুর সড়কে অনেক গুলো গাছ মরে গেছে, এখন এসব গাছ ও ডালপালা যখন তখন ভেঙে সড়কের ওপর পড়ছে। কিছুদিন আগে চারিপাড়া থেকে চান্দলা এলাকার কয়েকটি মরা গাছ পরে চলাচল বন্ধ ছিলো। পরে বিভিন্ন যান বাহনের চালকরা স্থানীয়দের সহযোগিতা নিয়ে এসব গাছ সড়ক থেকে সরিয়ে তাদের যান বাহন চলাচল সাভাবিক করে। এসব গাছ দ্রুত কেটে নেওয়া উচিত।
এই ব্যপারে উপজেলা ফরেষ্ট অফিসার রফিক উদ্দিন বলেন, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন সড়কের পাশের মারা গাছ কাটার বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের অনুমোদনের প্রক্রিয়া চলছে। খুব দ্রুতই মরা গাছগুলো কেটে নেওয়া হবে এবং মরা গাছের জায়গায় নতুন করে গাছের চারা রোপণের উদ্যোগও নেওয়া হবে।