Published : Saturday, 23 November, 2019 at 12:00 AM, Update: 23.11.2019 2:38:03 AM

কুমিল্লা
বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ১ম সমাবর্তনের উচ্চ ফি ও সমাবর্তনে অংশ না নিলেও
সমাবর্তনের ফির সমপরিমাণ অর্থ দিয়ে সনদ নেওয়ার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করার
জন্য এক শিার্থী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন। গত
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান এবং
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার বরাবর ডাকযোগে এ নোটিশ
পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা শিা
বিভাগের চতুর্থ ব্যাচের শিার্থী মো. তারেক রহমানের পে বাংলাদেশ সুপ্রিম
কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট একলাছ উদ্দিন ভূইয়া এ আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন। ৭২
ঘণ্টার মধ্যে নোটিশের দাবি পূরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে সমাবর্তন
বন্ধে উচ্চ আদালতের আশ্রয় নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
অ্যাডভোকেট
একলাছ উদ্দিন ভূইয়া স্বারিত আইনি নোটিশে বলা হয়েছে, আগামী ২৭ জানুয়ারি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশ নিতে
রেজিস্ট্রেশনের জন্য স্নাতক ডিগ্রিধারী শিার্থীদের ৩৫৫০ টাকা ও
স্নাতকোত্তরদের ৪০৫০ টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠাতে বলা হয়েছে। এই ফি দেশের
অন্যান্য স্বনামধন্য শিা প্রতিষ্ঠানের তুলনায় অস্বভাবিক। ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকট সমাবর্তনে অনার্স পর্যায়ে নিবন্ধন ফি ছিল ২০০০ টাকা,
মাস্টার্স পর্যায়ে নিবন্ধন ফি ছিল ৩০০০ টাকা। সনদ নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৩০০ টাকা নিচ্ছে বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে। সেখানে
নতুন হওয়া কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে অংশ না নিলেও সমপরিমাণ ফি
দিতে হবে, পাশাপাশি কেন সমাবর্তনের ফি কমানো হবে না তা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপকে জানাতে বলা হয়েছে।
নোটিশদাতা আইনজীবী অ্যাডভোকেট
একলাছ উদ্দিন ভূইয়া বলেন, সংশ্লিষ্টদের বরাবর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন ফি
সংক্রান্ত আইনি নোটিশ পাঠিয়েছি। নোটিশে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার
নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশা করি, নোটিশ গ্রহীতারা এ বিষয়ে কার্যকর পদপে
নেবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান
কবির চৌধুরী বলেন, ‘আমরা নোটিশটি এখনো হাতে পাইনি। তবে নোটিশ সম্পর্কে
জানতে পেরেছি। নোটিশ হাতে পেলে আমরা সেভাবে আইনি ব্যবস্থা নেব।’
সমাবর্তনের
জন্য উচ্চ ফি নির্ধারণ ও সমাবর্তনের সমপরিমাণ ফি দিয়ে সার্টিফিকেট তোলার
বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে প্রতিষ্ঠিত
সমসাময়িক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ফি’র সঙ্গে সমন্বয় করে ফি নির্ধারণ করেছি। আর
সমাবর্তনের সমপরিমাণ ফি দিয়ে পরবর্তী সময়ে সার্টিফিকেট তোলার বিষয়টি আলোচনা
করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’