Published : Monday, 18 November, 2019 at 12:00 AM, Update: 18.11.2019 1:35:21 AM

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লায় অপহৃত এক ব্যক্তিকে শেকলে বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ।
অপহরণের ২ ঘণ্টার মধ্যে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ নাটকীয় কায়দায়
নগরীর নেউড়া এলাকার একটি ছয়তলা ভবনের নিচতলা হতে শেকল বাধা অবস্থায় ভিকটিম
আজাদ হোসেনকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জামাল মিয়া নামে এক অপহরণকারীকে আটক করা
হয়।
গত শনিবার জেলার আদর্শ সদর উপজেলার দৌলতপুর এলাকা হতে ভিকটিমকে
অপহরণ করা হয়েছিল। রবিবার সন্ধ্যায় প্রেসব্রিফিং করে সাংবাদিকদের এসব তথ্য
জানান কুমিল্লা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর-এ সার্কেল) তানভীর সালেহীন ইমন।
এদিকে এ ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী মোর্শেদা বেগম বাদী হয়ে রবিবার রাত ৮টার দিকে ৪জনকে আসামি করে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
অতিরিক্ত
পুলিশ সুপার তানভীর সালেহীন ইমন সাংবাদিকদের জানান, গত শনিবার সকাল সাড়ে
৬টার দিকে আদর্শ সদর উপজেলার দৌলতপুর এলাকার আবদুর রশিদের ছেলে আজাদ হোসেন
(৪৫) বাড়ি হতে বের হয়ে তার বোনের বাড়ি পাশর্^বর্তী সদর দক্ষিণ উপজেলার
রাজারখোলা গ্রামে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে দৌলতপুর এলাকার চিশতিয়া জুট মিলের
সামনে গেলে সেখানে সাদা রংয়ের একটি প্রাইভেট কারে ৪ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি
তার গতি রোধ করে এবং ডিবি পুলিশ পরিচয়ে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে গাড়িতে করে
তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরে সন্ধ্যা পৌণে ৭টার দিকে অপহরণকারীরা আজাদ
হোসেনের মেয়ে রিয়া আক্তারের মোবাইলে ফোন করে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে নগরীর
নেউড়া এলাকায় যেতে বলে এবং তার বাবার সাথে কথা বলিয়ে দেয়। রাত পৌণে ৯টার
দিকে ভিকটিমের মেয়ে রিয়া আক্তার বিষয়টি কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশকে জানায়।
তিনি আরও জানান, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অপহরণকারীদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে
পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলামের নির্দেশে পুলিশের ২টি টিম ভিকটিমের মেয়ে
রিয়াকে সঙ্গে নিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। অভিযানের একপর্যায়ে ভিকটিম আজাদ
হোসেনকে নগরীর নেউড়া ইকো পার্কের পাশের্^র একটি ছয়তলা ভবনের নিচ তলা হতে
শেকল বাধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ৩ জন
অপহরণকারী পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল হতে জামাল মিয়া নামে এক অপহরণকারীকে আটক
করা হয়। আটক জামাল মিয়া জেলার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের বারেশ^র
গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে। সে নগরীর নেউড়া এলাকায় জনৈক জহিরুল ইসলামের
বাড়িতে ভাড়া থাকতো। ভিকটিম আজাদ হোসেন জানান, মূলত তাকে জিম্মি করে তার
মেয়ে রিয়া আক্তারকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে অপহরণকারীরা এই ঘটনা সৃষ্টি করে এবং এ
বিষয়ে তারা পারস্পরিক আলোচনা করছিল। পুলিশের সহায়তায় আমি উদ্ধার হয়েছি এবং
আমার মেয়ে একটি বড় ধরণের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে। কোতয়ালী মডেল থানার
পরিদর্শক (তদন্ত) সালাহউদ্দিন জানান, এ ঘটনায় ভিকটিম আজাদ হোসেনের স্ত্রী
মোরশেদা বেগম বাদী হয়ে রবিবার রাত ৮টার দিকে ৪জনকে আসামি করে মামলা দায়ের
করেছেন। মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।