Published : Sunday, 17 November, 2019 at 12:00 AM, Update: 17.11.2019 2:24:20 AM

নিজস্ব
প্রতিবেদক: কুমিল্লায় জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সভায় বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র
করে দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় মারামারি ও সংঘর্ষ হয়েছে। এতে সাবেক সংসদ
সদস্য (এমপি) আমির হোসেনসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার দুপুরে
কুমিল্লা নগরীর টাউন হল মিলনায়তনে মারামারি শুরু হয়ে ঘটনা জেলা সার্কিট
হাউজ পর্যন্ত গড়িয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে কুমিল্লা টাউন হল
মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা, কুমিল্লা উত্তর জেলা ও
মহানগর শাখার সাংগঠনিক সভা চলছিল। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় পার্টির
প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী কাজী ফিরোজ রশিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এস. এম ফয়সাল চিশতী, বিরোধীদলীয় হুইপ
অধ্যাপক রওশন আরা মান্নান এমপি প্রমুখ। সভা চলাকালে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা
জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি সালামত উল্লাহর সঙ্গে সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ
সম্পাদক ওবায়েদুল কবিরের বাক-বিতন্ডা হয়। এরপর কুমিল্লা উত্তর জেলা জাতীয়
পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আমির হোসেন মঞ্চে বক্তব্য দিতে গেলে
কেন্দ্রীয় নেতা মাখন সরকার মাইক কেড়ে নেন। এতে মঞ্চে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির
ঘটনা ঘটে।জাতীয় পার্টির দুই গ্রুপের সংঘর্ষস্থল থেকে দুই জনকে আটক করা হয়।
সভা
শেষ করে কেন্দ্রীয় নেতারা কুমিল্লা সার্কিট হাউজে যান। সেখানে আমির হোসেন ও
মাখন সরকারের মধ্যে ফের হাতাহাতি হয়। এ সময় আমির হোসেন ও মাখন সরকার আহত
হন। পুলিশ তখন মাখন সরকারকে আটক করে। দুই জায়গায় সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত
হয়। এ বিষয়ে উত্তর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি লুৎফুর রেজা খোকন জানান,
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামান্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি কেন্দ্রীয়
নেতারা মীমাংসা করে দিয়েছেন। কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ
আনোয়ারুল হক জানান, টাউন হল ও সার্কিট হাউজের ঘটনায় তিন জনকে আটক করা হয়। এ
বিষয়ে কারও কোনো অভিযোগ না থাকায় পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের অনুরোধে তাদের
ছেড়ে দেওয়া হয়।