Published : Friday, 1 November, 2019 at 12:00 AM, Update: 01.11.2019 2:15:30 AM

আলমগীর হোসেন,দাউদকান্দি।। কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরীপুর ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল এন্ড ডায়গনিস্টিক সেন্টারে কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এক প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। নিহত সীমা আক্তার (২৫) তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের আব্দুস সামাদ মিয়ার মেয় এবং জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার মিন্টু মিয়ার স্ত্রী। এবং তাঁর ছয় বছর বয়সী একাটি কন্যা সন্তান রয়ছে। এ নিয় ওই হাসপাতালে রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করলে হট্টগোল শুরু হয়। পরে পুলিশ গিয় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে এবং অবহেলার অভিযোগে হাসপাতালের ম্যানেজার সুমনকে আটক করে। বুধবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের খালা লাকি আক্তার জানান, আমরা বুধবার দুপুরে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয় গেলে ডাক্তার আসবে বলে আমাদের ৪/৫ঘন্টা বসাইয়া রাখে। সন্ধ্যায় সেলাইন দেয়ার পর ডা: সিফাত হোসেন রতœা এসে আমার ভাগনির শরীল ঠান্ডা দেখে এ্যাম্বুলেন্স ডেকে দেয় এবং দ্রুত ঢাকায় নিয় যেতে বলে। এ্যাম্বুলেন্সে উঠানোর পর আমার ভাগনী মারা যায়। ডাক্তার সিফাত হোসেন রতœা বলেন, এখানে আমাদের অবহেলার কোন কিছুই নেই, কারণ বুধবার আমরাতো রোগীকে কোন চিকিৎসাই দেয়নি। কেননা সীমা নামের এই রোগীর শারীরিক অবস্থা ভালো ছিলো না। সিজারিয়ান করার মত অবস্থা ছিলো না তার। গত ১৯ অক্টোবর সীমা আক্তারকে দেখে ওই দিনই রোগীকে দেখে ঢাকা অথবা কুমিল্লায় নিয় সিজার অপারেশন করার প্রেসকিপশন দিয়ছি। তার পরও তারা ঢাকায় না গিয় ১০ দিন পর আবার এখানে নিয় আসছে। আমি বলবো এ মৃত্যুর জন্য চিকিৎসকদের অবহেলার অভিযোগ ঠিক নয়, পরিবারের লোকজনের গাফলতি এখানে অনেকটাই দায়ী। দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: রফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয় রাতে ওই হাসপাতালে যাই।সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দাউদকান্দি সার্কেল) আবু সালাম চৌধুরী ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা: মো: জামাল উদ্দিনের উপস্থিতিতে প্রাথমিক ভাবে আমরা যেটা পেলাম সেট হলো , এই রোগীটার অবস্থা আগে থেকেই খারাপ ছিলো, এ্যাকলামশিয়া বা খিচুনী থাকায় গত ১৯ তারিখ তাদেরকে ঢাকায় নিয় যেতে বলে, পরে তারা সরকারী হাসপাতালে নিয় যায়, সেখান থেকেও একই পরামর্শ দেয়া হয়ছে বলে আরএমও মহোদয় জানিয়ছেন। রোগী হাসপাতালে আসার পর ৪/৫ ঘন্টায় কোন চিকিৎসা পেয়ছে বলে আমাদের মনে হয়নি। ইচ্ছাকৃত হোক আর অনিচ্ছাকৃত হোক বা যে কারনেই হোক রোগীর মুত্যু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা বলে আপাতত প্রতীয়মান হওয়ায় ম্যানেজার সুমনকে আমারা গ্রেফতার করেছি। ময়না তদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়র মাধ্যেমে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।