
পঞ্চগড়ে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বিদ্যালয়ের ৪ লাখ টাকা সমমূল্যের গাছ মাত্র ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। জেলার বোদা উপজেলার ময়দানদীঘি ইউনিয়নের জোতমনিরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ৩০টি বড় ফলদ ও বনজ গাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (১৮ আগস্ট) স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ী তমিজ উদ্দিনের লোকজন গাছগুলো কাটা শুরু করলে বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসে। বিদ্যালয় ভবন ও মাছের চারপাশে ১২-১৪ বছর বয়সী এই সব গাছ শোভাবর্ধন ও ছায়া প্রদান করায় স্থানীয় ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক জানান, শুধুমাত্র টাকা আত্মসাৎ করার জন্য প্রধান শিক্ষক মোবারক আলী ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কৃষ্ণ চন্দ্র রায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে গাছগুলো তড়িঘড়ি করে কেটে বিক্রি করার পরিকল্পনা করেছেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার দেওয়া তথ্যমতে, বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি করার জন্য প্রথমে দাপ্তরিক অনুমোদন লাগে। এরপর বন বিভাগ গাছের দাম নির্ধারণ করার পরে উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে গাছ বিক্রি করা হয়। কিন্তু এ বিষয়ে বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তা করেন নি।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোবারক আলী জানান, আশপাশের ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয় অনেকে অভিযোগ করেছিল। তাই গাছগুলো কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বারের অনুমতি নেওয়া হয়েছিল।
ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার জানান, আমি নিয়ম মেনে গাছগুলো কেটে বিক্রি করার কথা বলেছিলাম। কিন্তু এরপর কি হয়েছে তা আমার জানা নেই।
বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ মাহমুদ হাসান বলেন, সরকারি বিধি না মেনে বিদ্যালয়ের গাছ কাটার কথা শুনেছি। আমরা গাছগুলো জব্দ করার জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছি। গাছগুলো জব্দ করার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।