
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অসুস্থ দাবি করলেও চিকিৎসকরা তা মনে করছেন না। দূর্নীতির দায়ে সাজা পাওয়া দলীয় নেত্রীকে মুক্তি দিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙুলি দেখিয়েছে বিএনপি।খালেদা জিয়ার সাজা দিয়েছে আদালত, মুক্তি দেওয়ার এখতিয়ার তো আদালতের হাতে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তো সেই এখতিয়ার রাখেন না।
রোববার ( ১১ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামেএম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম মাঠে ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতাদের ন্যুনতাম জ্ঞান থাকলে তারা খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানো থেকে বিরত থাকতেন। এই আবেদনের মধ্য দিয়ে প্রকারান্তরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে। তবে সাজা মওকুফের জন্য ক্ষমা চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন জানাতে পারেন। রাষ্ট্রপতি বিষয়টি বিবেচনা করে দেখতে পারেন। আমাদের সংবিধান রাষ্ট্রপতিকে সাজা মওকুফের ক্ষমতা দিয়েছে।
তিনি বলেন, দেশে অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চাতেও গতি এসেছে। বাংলাদেশের প্রকাশনা শিল্পেও প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে। প্রকাশকরা নান্দনিক বই পাঠকদের হাতে তুলে দিতে পারছেন।
এবারের মেলা উৎসবমুখর হবে বলে আশা প্রকাশ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিপ্লব ঘটে গেছে। কোনো পত্রিকায় খবর নাও থাকে, তাও কিন্তু সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে লক্ষ-কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। তবে এর সুফল ছাড়াও নেতিবাচক দিক কম নয়।
বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা ও বেলুন উড়ান তথ্যমন্ত্রী। পরে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিন, বইমেলা কমিটির আহ্বায়ক নাজমুল হক ডিউক।
মেলায় ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার শতাধিক প্রকাশক অংশ নিয়েছেন। চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ আয়োজিত ১৯ দিনব্যাপী মেলায় বই বেচাকেনার পাশাপাশি থাকছে একুশে সম্মাননা পদক প্রদান, সাহিত্য পাঠ, বিষয় ভিত্তিক প্রতিযোগিতাসহ রবীন্দ্র, নজরুল উৎসব, বসন্ত বরণ, ভালোবাসা দিবসের উৎসব উদযাপন।