
ভেজাল খাদ্য নির্মূলে আত্মসচেতনার ওপর জোর দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেছেন, ভেজাল খাদ্য নির্মূলে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তবে এ দায়িত্ব শুধু জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একার নয়, দায়িত্ব সবার। এজন্য আগে নিজেদের সচেতন হতে হবে।
শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় ‘সুস্থ সবল জাতি চাই-পুষ্টিসম্মত নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নাই’ স্লোগানে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবসের র্যালি শুরুর আগে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
এসময় নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করতে সারাদেশে ৪৬৩টি সংস্থা কাজ শুরু করছে বলে জানান তিনি।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমাদের আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করা। সেই লক্ষ্যেই জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে সরকার। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সারাদেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সদর খাদ্য গুদাম থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম শাহনেওয়াজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক, সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রওশন আরা খানম, সিভিল সার্জন ডা. মুমিনুল হক, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আব্দুল বারী, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কামাল হোসেন, নওগাঁ চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল, চালকল মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদারসহ সরকারি বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
পরে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।