কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসক নিয়োগের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে সারসংক্ষেপ পাঠিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। সরকারের একজন যুগ্ম সচিব অথবা বিশিষ্ট কোনো নাগরিককে প্রশাসক পদে নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়েছে। ১৮০ দিনের জন্য প্রশাসক নিয়োগের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিভিন্ন সিটি করপোরেশনে বিএনপি সমর্থিত মেয়রগণ মামলার কারণে পদ হারিয়েছেন। ওইসব সিটি করপোরেশনে ভারপ্রাপ্ত মেয়ররা দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি প্রথমবার অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মনিরুল ইসলাম সাক্কু বিপুল ভোটে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীকে পরাজিত করেছিলেন। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। মামলার কারণে নির্বাচন না হওয়ায় মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই প্রশাসক নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়েছে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন আয়োজনে যে জটিলতার সৃৃষ্টি হয়েছিল তা কেটে গেছে। তিন মাসের মধ্যে সীমানা সংক্রান্ত মাস্টারপ্লান বাস্তবায়ন না করলে নির্বাচন আয়োজনের উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল উচ্চ আদালতের। ওই নির্দেশনা প্রতিপালিত হওয়ায় নির্বাচন আয়োজনে বাধা নেই বলে উচ্চ আদালত থেকে নির্দেশনা পেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে সময় স্বল্পতার কারণে কুমিল্লা সিটির তফসিল ঘোষণা করবে না কাজী রকিবউদ্দীন নেতৃত্বাধীন কমিশন। সম্প্রতি কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের সার্ভার স্টেশন উদ্বোধন শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছিলেন, একসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা সিটির নির্বাচন আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছিল। কিন্তু হাইকোর্টের মাস্টারপ্লান বাস্তবায়ন করে নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা থাকার কারণে নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। তবে নতুন কমিশন এসে এই সিটির নির্বাচন আয়োজন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সিইসি। -ইত্তেফাক